জিনাত বরকতুল্লাহর মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
|
![]() বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্যচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জিনাত বরকতুল্লাহ। তিনি তার কর্মের মধ্যদিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন। নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতুল্লাহ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন জিনাত বরকতুল্লাহ। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হন গুণী এই শিল্পী। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিনাত বরকতুল্লাহ। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক প্রদান করে। শুধু নৃত্য চর্চায় নয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর প্রায় ৮০টি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নাট্যকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২০ সালের ৩ আগস্ট মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
|