দরিদ্র
শিক্ষার্থী, অসহায় নারী-পুরুষদের উপার্জনের কথা চিন্তা করে করোনার সময়
কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স ফোরাম নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়। এক
লাখ ৮০ হাজার সদস্যের গ্রুপটির (যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ মৎড়ঁঢ়ং/
৩০৭২০৭২৮৭৩৯১৭২৭/ ঢ়বৎসধষরহশ/ ৭৯০৫৫৬২৮৯০৫৬৮২২/) মাধ্যমে উপকৃত হতো অন্তত ১০
হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
গ্রুপটির সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হতো। মাসে দুই-তিনটি প্রোগ্রাম করে গেট টুগেদার করা হতো।
২৬
জুলাই ফেসবুক থেকে গ্রুপটিকে সরিয়ে নেয় মেটা কর্তৃপক্ষ। এতে বিড়ম্বনায়
পড়েছেন ওই উদ্যোক্তারা। অনেক উদ্যোক্তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, অনেকের
উপার্জন একেবারে কমে গেছে। গ্রুপটির মাধ্যমে ব্যবসা করা উদ্যোক্তাদের
মাঝারি আয়ে সংসার চলতো। বর্তমান আয় দিয়ে সংসার টেনে নিতে পারছেন না তারা।
ই-কমার্স
গ্রুপের একজন উদ্যোক্তা ফারজানা সুলতানা জানান, গ্রুপটিতে আমাদের অনেক
ফ্যাসিলিটিজ ছিল। লাইভে পণ্য বিক্রি করার সুযোগ ছিল। আমরা এসব ক্রেতাদের
হারিয়ে ফেলেছি। এ গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। তারা
একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে গ্রুপটি হারিয়ে।
আরেক উদ্যোক্তা মো. ইমতিয়াজ সরকার
জানান, আমরা হতাশার মধ্যে আছি। এ গ্রুপের মাধ্যমে মাটির পণ্য বিক্রি করে
মাসে ১৫ হাজার টাকার মতো লাভ হতো। এটি দিয়ে সংসার টেনে নিতাম। সেপ্টেম্বর
মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত মাত্র সাত হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। লাভের
অবস্থা তো বুঝতেই পারছেন।
ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী আপন
তিবরানী বলেন, ছেলে-মেয়েদের মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। অনেকে এসে কান্না
করে। তারা গ্রুপটিকে ফিরে পেতে চায়। মেটা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, তারা
যেন গ্রুপটিকে আবার চালু করেন।