কুমিল্লার চান্দিনায় কাজী মো. এবাদ উল্লাহ (৪২) নামে এক ভুয়া চক্ষু চিকিৎসককে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রোগীর চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তাকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় চান্দিনা পশ্চিম বাজারস্থ আব্দুল্লাহ চশমা ঘর দোকান মালিককে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
আটক ভুয়া চিকিৎসক কাজী মো. এবাদ উল্লাহ চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী গ্রামের কাজী জয়নাল আবেদীন এর ছেলে। তিনি কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসকের সহকারি হিসেবে কর্মরত থেকে নিজেকে চক্ষু ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে চেম্বার করে রোগী দেখেন।
জানা যায়, কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের সহকারি কাজী মো. এবাদ উল্লাহ চান্দিনা পশ্চিম বাজার এলাকায় একটি চশমা দোকান প্রতিষ্ঠা করে তার নিকটতম এক আত্মীয়কে নিয়ে সেই দোকান পরিচালনা করেন। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার তিনি ওই দোকানের পিছনের একটি অংশে নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ওই দোকান থেকে ওষুধ ও চশমা বিক্রি করেন। এছাড়াও তিনি সপ্তাহের বাকি ৫ দিন দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখেন। চিকিৎসা পত্রে চেম্বারের নাম সহ অন্যান্য প্রচারপত্র বাংলায় লিখা থাকলেও  রোগীদের ধোকা দিতে নিজের নাম, পদবী ইংরেজীতে লিখেন তিনি।
এসব ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যয় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চান্দিনা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার।
তিনি জানান, চিকিৎসক হিসেবে নিজের কোন পরিচয়পত্র এমনকি চিকিৎসা সেবা প্রদানে তার যোগ্যতার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবাদ উল্লাহ। তিনি সপ্তাহে দুই দিন চান্দিনা উপজেলা সদরের একটি দোকানে চেম্বার করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০জন রোগী দেখেন রোগীদের কাছ থেকে ফি নেন। এ ঘটনায় মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ সমস্ত ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমান আদালতে সহযোগিতা করেন চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সাকিব মুরসালিন, ডা. নাজমূল হাসান সহ চান্দিনা থানা পুলিশের একটি টিম।