
নিজস্ব প্রতিবেদক: তাপপ্রবাহ দেশের চার
জেলায় তীব্র রূপ ধারণ করেছে। ৪৪ জেলায় চলছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা গত কিছুদিনের এই তাপমাত্রাকে অস্বাভাবিক
বলছেন। সেই সঙ্গে প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে গরম আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে
মানুষের মধ্যে। সব মিলিয়ে গরমে হাঁসফাঁস মানুষ আশায় পথ চেয়ে আছে বৃষ্টির।
এর
মধ্যে দুই বিভাগে বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা
৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি
ও বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে অধিদপ্তরটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরবর্তী
২৪ ঘণ্টার এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও
সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় বজ্রবৃষ্টিও পড়তে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ী আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের
আভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি
ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে পারে। আবহাওয়া
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা জানান, তাপপ্রবাহ আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে
পারে।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র
তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও
ফেনী জেলার মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ
ও খুলনা বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বাকি জেলাগুলোরওপর দিয়ে মৃদু
থেকে মঝারি তাপপ্রবাহ হয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা (শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা
পর্যন্ত) এই তাপপ্রবাহ আব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের
তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম
মল্লিক জানান, রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেশি
আছে এখন। রাতের তাপমাত্রা এখন ২৫ থেকে ২৯ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
রাতে তাপমাত্রা সাধারণত ২৬ ডিগ্রি বা তার কম থাকলে একটু আরামবোধ হয়। দিনের ও
রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির চেয়ে কম হলে তাহলে অস্বস্তিবোধ
বাড়ে। বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গাতে এই পার্থক্য ১০ ডিগ্রির চেয়ে কম
থাকায় রাতে গরমের অনুভূতি ও অস্বস্তিবোধ বেশি হচ্ছে।
চলতি মাসের ৮-৯
তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়লে তাপপ্রবাহ ও গরম থেকে মানুষের স্বস্তি মিলতে
পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে মাঝে মাঝে সিলেট,
চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশালসহ দেশের কোনো কোনো জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি
হতে পারে। তবে এ মাসের ৮-৯ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
তখন এই চলমান তাপপ্রবাহ ও গরম থেকে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’