শনিবার ৩ জুন ২০২৩
২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
হোমনায় জহির হত্যা মামলা
প্রধান আসামী জেলা পরিষদ সদস্যসহ গ্রেফতার-২
হোমনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩, ৮:৪৫ পিএম |

প্রধান আসামী জেলা পরিষদ সদস্যসহ গ্রেফতার-২কুমিল্লার হোমনার আলোচিত “পাঠান বাহিনী”র প্রধান মুকবল হোসেন পাঠানের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার পর এবার ওই মামলার সাক্ষী ও নিহতের ভাই মো. খায়েরকে প্রকাশ্যে হাতুড়ি পেটা ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় পাঠান বাহিনী প্রধান কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামী করে গত ২৩ মে রাতে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠান ও আব্দুল হক উরফে হক সাব নামে ২জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে হোমনা থানার ও.সি সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘ দিন ধরেই “পাঠান বাহিনী”র লোকজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলো। এরই জেরে গেলো বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারী আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন জহিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জহিরের বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে ওই মামলায় বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠানকে অন্যতম আসামী করা হয়। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে ওই মামলাসহ প্রায় ১৬-১৭টি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে জানা যায়। জহির হত্যাসহ কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই গত ২৩মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর বাজারে নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়ার চায়ের দোকানে হামলা চালায় পাঠান বাহিনী।
এসময় নিহত জহিরের ভাই খায়েরকে হামলা করে সুইচ গিয়ার দিয়ে মারে ও হাতুড়ি পেটা করে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় অটোরিক্সায় বসে থাকা মো. কামাল নামের এক ব্যক্তি তাকে বাঁচাতে গেলে “পাঠান বাহিনী”র লোকজন তাকেও এলোপাতাড়ি হামলা করে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কামাল হোসেনের মুখের ৪টি দাঁত ভেঙে ফেলে। উভয়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এই ঘটনায় নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়া বাদী হয়ে মো. মুকবল হোসেন পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার বাদী রেনু মিয়া জানান, মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাহিনীর লোকজন বোমা-ককটেল ফাটিয়ে এবং দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমার দোকানে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। আমার এক ছেলে জহিরকে হত্যা করে এখন আবার আমার ছেলে খায়েরকেও হত্যা করতে চায়। জহির হত্যা মামলা না তুললে যেকোন সময় আমাকে বা আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করে ফেলবে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে নারী পাচার ও হত্যাসহ ১৬-১৭টি মামলা রয়েছে।
হোমনা থানার ও.সি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীপাচারসহ ১১টিরও বেশি মামলা আদালতে বিচারাধীর রয়েছে।












সর্বশেষ সংবাদ
সীমানা ভাগ হয়েছে, হৃদয় ভাগ হয়নি
সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমিন এর মৃত্যুতে মাগফিরাত কামনা
চৌদ্দগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে ৫৫কেজি গাঁজাসহ আটক২
নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়িকে জাদুঘর বানানো হবে--সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় পণ্য ও মাদকসহ সাতজন গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সীমানা ভাগ হয়েছে, হৃদয় ভাগ হয়নি
চার স্তম্ভে দাঁড়াবে স্মার্ট বাংলাদেশ
ভাতিজাদের মারধরে চাচার আত্মহত্যা
দাউদকান্দিতে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের ৬ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
সহসা কমছে না গরম
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft