বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩
৮ চৈত্র ১৪২৯
হোমনায় শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে শিক্ষিকা লাঞ্ছনার পর এবার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত
এমএ কাশেম ভূঁইয়া-হোমনা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ১:৩২ এএম |


কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টি.ইউ) মো. আহসান এর দ্বারা শিক্ষিকা লাঞ্ছিতের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেনকে লাঞ্ছিতসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্ধের টাকা আত্মসাত ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা। তবে এসব বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ হলেও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
অভিযোগ অনুসন্ধ্যানে গেলে সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন জানান, উপজেলার রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি টিপুকে অফিসে পেয়ে তাকে একটি চেক দিয়ে ব্যাংকে পাঠালে টি.ও স্যার তাকে খুঁজে না পেয়ে তাকে ফোনে ডেকে এনে অফিসে তাকে ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং শাস্তিস্বরুপ বিকালে ৫টা পর্যান্ত বসিয়ে রাখে। পরবর্তীতে এ.টি.ও নজরুল সাহেব আমাকে বলেন, "আপনার জন্য নিরীহ দপ্তরী অপদস্ত হয়েছে।" পরে আমি তাকে শান্তনা দিয়ে পাঠিয়ে দিলে টি.ও স্যার আবারো তাকে মোবাইলে ফোন করে জানতে চায়, সে তার অনুমতি নিয়ে বাড়ি গেছে কি না? পরে আমি তাকে বাড়ি যেতে বলেছি জানালে, আমাকে আবারো বকাবকি করে এবং এক পর্যায়ে আমার উপর চায়ের কাপ ছুড়ে মারে। সে টি আমার গায়ে না পরে দেয়ালে পড়ে ভেঙ্গে যায় এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ভাতার সম্মানি টাকা আমাকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি ডি.পি.ও স্যারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এর আগে ওপারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোসা. সালমা আক্তার ও নিলখী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাইনুদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন বলে লিখিত অভিযোগ ছিলো। গেলো অর্থ বছরে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধের টাকা কোন তালিকা তৈরী না করেই নিজের একাউন্ট নিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেই এই কর্মকর্তা। তবে এসব বিষয়ে ফলাও করে গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়। এরপর মহিষমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন উপস্থিত শিক্ষকদের সামনে।
অভিযোগকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোসা. সালমা আক্তার বলেন, স্যারের ব্যবহারে আমি অনেক কষ্ট পেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। স্যারের মুখের ভাষায় হোমনা সদরের হালিমা নামে এক শিক্ষিতা আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলে জানা যায়।
দপ্তরী টিপু বলেন, টি.ও স্যারের অনুমতি ছাড়া কবির স্যারের চেক নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ায় আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। পরে কবির স্যার এসে আমাকে পাঠিয়ে দেয়ায় আবারো ফোন করে গালাগালি করেন।
তবে এতসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের নিকট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া ব্যাংকে যাওয়ায় তাকে বকাবকি করেছি। পরবর্তীতে এ.টি.ও কবির সাহেব এসে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ায় ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছি মাত্র। চায়ের কাপ ছুড়ে মারেননি অস্বীকার করে বলেন, "আমার হাতে লেগে টেবিল থেকে মাটিতে পড়ে যায়।" আসলে সবাইকে ডিসিপ্লিন করে চলতে বলাতেই তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান সংবাদকে বলেন, বিষয়টি শুনে সাথে সাথেই হোমনাতে যাই এবং লিখিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত করি। বিষয়গুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লার ১৭৯০ পরিবার ভূমিসহ ঘর পাচ্ছে আজ
দাউদকান্দিতে নারীর লাশ উদ্ধার
হত্যা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর পলাতক আসামি কারাগারে
পুরো শহরেই যানবাহনের জটলা
শওকত মাহমুদকে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কমলো হজের খরচ
রমজানে ছুটি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন
সোনার দাম কমলো
শওকত মাহমুদকে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার
দাউদকান্দিতে নারীর লাশ উদ্ধার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft