মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
৭ চৈত্র ১৪২৯
সেই সারাহের চোখে পৃথিবী দেখছেন তারা দুজন
প্রকাশ: রোববার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:০৪ পিএম |

সেই সারাহের চোখে পৃথিবী দেখছেন তারা দুজন২০ বছর বয়সি মেধাবী সারাহ ইসলাম ১৮ জানুয়ারি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। মৃত্যুর আগে নিজেই পুরো দেহ দান করে গেছেন মানুষের কল্যাণে, গবেষণায়। তার চোখ দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখছেন দুজন। এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
রোববার সকালে সারাহ ইসলামের দুটি কর্নিয়া বসানো রোগী শিক্ষিকা ফেরদৌস আখতার ও মোহাম্মদ সুজনের চোখ পরীক্ষা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য জানান, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি অন্য দুজন রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে তার দুটি কর্নিয়া দুইজনের চোখে বসানো হয়েছে। তার অঙ্গদানের মাধ্যমে চারজন মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। 

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ফেরদৌস আখতারের ডান চোখে ভাইরাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দৃষ্টিশক্তি হারান। পরে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমানের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাত বছর আগে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক। তবে কর্নিয়া সংকটে এটি এতদিন করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, কর্নিয়া জোগাড় করতে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেখেছিলেন এ শিক্ষিকা। সারাহর কর্নিয়া দানের সম্মতি পেয়েই চিকিৎসক শীষ রহমান ফোন করে ফেরদৌসকে আখতারকে ঢাকায় আসতে বলেন। এরপর তার ডান চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। ডান চোখে এখন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

এদিকে, মোহাম্মদ সুজনের চোখের অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ। মোহাম্মদ সুজন এখন ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০ বছরের তরুণী ফাইন আর্টসের মেধাবী শিক্ষার্থী সারাহ ইসলাম। তিনি তার অঙ্গ দান করে যান। 

গত ১৯ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে সারাহ ইসলাম ব্রেন ডেড হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডাভেরিক সেলের আহ্বায়ক ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে তাঁর দুই কিডনি বের করেন আনেন।

এরপর একটি কিডনি শামীমা আক্তার নামের এক রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। 

সারাহ ইসলামের অপর কিডনিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খুরশিদুল আলমের নেতৃত্বে হাসিনা আক্তার নামের অপর এক রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। তারা দুজনেই ভালো আছেন।












সর্বশেষ সংবাদ
চৌদ্দগ্রামকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী
রমজানে ছুটি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন
কুবিতে অনুষ্ঠিত হলো ম্যাথ অলিম্পিয়াড
সোনার দাম কমলো
বিমানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সীমানা পরিবর্তনের আবেদন সবচেয়ে বেশি কুমিল্লায়
কমলো হজের খরচ
রমজানে ছুটি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন
বাংলাদেশে ১৪ ঘণ্টা, এবার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রোজা যে দেশে
একই পদ্ধতি অনুসরণে সব মসজিদে তারাবিহ পড়ার আহ্বান
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft