সকল
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর পর আজ (শনিবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ৩টি প্যানেলে
৩৯টি পদে ৭৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর ১২টি পদের প্রার্থীরা
বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন। উপজেলার ২০৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক
হাজার ২২৫ জন ভোটার তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
এরই মধ্যে প্রতিটি স্কুল, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে পোস্টার
লাগিয়ে ও শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অন্য কোনো
প্রতিশ্রুতি না দিলেও প্রার্থীরা সাধারণ শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন।
সাংগঠনিক ভাবে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষে নেতৃত্ব গঠন কিছুটা
পিছিয়ে পড়েছিল এ উপজেলায়। নানা কারণে শিক্ষকদের এ সংগঠনটি ২৯ বছর ধরে
নির্বাচনের বাইরে ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয়, বিভাগীয়
ও এমপি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এর সহযোগিতায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে নির্বাচন হওয়ার পর ২৯ বছর
পেরিয়ে গেলেও এ উপজেলায় ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন
হয়নি। মাঝে বেশ কয়েকটি কমিটি হলেও ভোটাধিকারের প্রয়োজন হয়নি। গত ১৪ নভেম্বর
এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে উপজেলার সকল শিক্ষকদের মাঝে চাঞ্চল্যতা ফিরে
আসে।
১নং ব্যালটের (কাউছার ও বজলু) প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু
কাউছার ভূইয়া বলেন, জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। জয়ের ব্যাপারে মাঠে ভোটারের ব্যাপক
সাড়া পাচ্ছি। তাই আমার অবস্থা ভাল দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝে
ভীতি কাজ করছে। ফলে তারা নানাহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
৩নং ব্যালটের
(রেবেকা-জাকির) প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী রেবেকা সুলতানা বলেন, নিয়মিত
প্রচারণা চালিয়ে দেখা গেছে মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। ভোটের যুদ্ধে আমরা
বিপুল ভোঠের ব্যবধানে জয়ী হবে ইনশাল্লাহ্।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও
জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ভুইয়া দৈনিক কুমিল্লার
কাগজকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক
প্রস্তুুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না।