
গাজীউল হাসান খান ||
জনশ্রুতি আছে, একসময় মিসরের প্রয়াত শাসক রাজা ফারুক নাকি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে পৃথিবীতে মাত্র দুই ধরনের রাজা-রানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। আর তা হচ্ছে তাসের রাজা-রানি এবং ইংল্যান্ডের (বর্তমান যুক্তরাজ্য) রাজা-রানি। যুক্তরাজ্য এখন একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হলেও সাংবিধানিক দিক থেকে দেশটির আইনানুগ রাজা বা রানি হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। অর্থাৎ চূড়ান্ত রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী না হলেও রাজতন্ত্র এখনো ঐতিহ্যগতভাবে টিকে রয়েছে।
ইংল্যান্ড থেকে ব্রিটেন এবং ব্রিটেন থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে ওঠার দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল ইতিহাসে সদ্যঃপ্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান। ৭০ বছরের কিছুটা দীর্ঘ সময় তিনি যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তাঁর তুলনায় ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময় রাজত্ব করেছিলেন। তবে মহিলা হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথই দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ প্রধান ছিলেন।
কিংবদন্তি রাজনীতিক ও যুক্তরাজ্যের সাবেক ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল থেকে শুরু করে সবেমাত্র ক্ষমতায় আসা লিজ ট্রাস পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করানোর গৌরব অর্জন করেছিলেন। বিশিষ্ট ব্রিটিশ সাংবাদিক ও রাজপরিবারের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের জীবনচরিত রচয়িতা রবার্ট হার্ডম্যান তাঁর ‘কুইন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ গ্রন্থে বলেছেন, যুক্তরাজ্যের রাজশক্তি (সমসাময়িক) একটি কল্পকাহিনির মতো। সেখানে সদ্যঃপ্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন একজন অদ্বিতীয় ও অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর সত্তর বছরের রাজত্বকালে (১৯৫২-২০২২) বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের পর্যায়ে তিনি ছিলেন শুধু একজনই। সম্পূর্ণ পৃথক চরিত্রের অনন্যসাধারণ একজন। রানি এলিজাবেথ তাঁর প্রজাসাধারণ এবং সমকালীন এ গ্রহের জন্য ছিলেন সম্পূর্ণ বৈশ্বিক ও যুগোপযোগী। অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের তুলনায় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাসে তিনি বলতে গেলে কারো মতোই ছিলেন না। ভবিষ্যতে তাঁর মতো আর কেউ হবে বলেও মনে হয় না। তিনি তাঁর কঠোর জীবনাচরণ, শৃঙ্খলাবোধ ও বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়ে তাঁর নিজ দেশে এবং এমনকি বিশ্বপরিমণ্ডলে তাঁর আভিজাত্য ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। গল্প-উপন্যাসের এক রূপকথার রাজকন্যা হয়েও তিনি ছিলেন আধুনিক, সমসাময়িক ও জননন্দিত।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ রাজতন্ত্র, উপনিবেশবাদ কিংবা বিভিন্ন বিতর্কের পাত্রী না হয়েও তাঁর পিতার পুরনো রাজত্বকে তিনি ‘কমনওয়েলথ’ নামের একটি ‘বহু জাতির পরিবারে’ পরিণত করেছিলেন, যা তাঁদের স্বাধীনতা লাভের পরও মুক্তিপ্রাপ্ত সদস্যরা (দেশ বা জাতিসমূহ) এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। ৫৬ সদস্যবিশিষ্ট কমনওয়েলথ সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে এখনো বাণিজ্য, শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রকৌশল কিংবা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক কিছুই বিনিময় বা হস্তান্তর (ট্রান্সফার) হচ্ছে। সে কারণেই প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বহু ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রের সরকারপ্রধান। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত জনমত জরিপ কিংবা গণভোটেও স্থানীয় জনগণ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে তাঁদের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বহাল রাখার জন্য মত প্রকাশ করেছিলেন। এলিজাবেথ প্রায় সব দিক থেকে অনগ্রসর কমনওয়েলথ সদস্য দেশসমূহকে টেনে ওপরে তোলার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী ও সচেষ্ট ছিলেন। কমনওয়েলথ-প্রধান হিসেবে তিনি তাঁর জীবদ্দশায় কোনো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কখনো অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায় না। তবু বিশ্বরাজনীতি দিনে দিনে অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। পারস্পরিক স্বার্থপরতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা সংঘাতে অসহনশীল হয়ে পড়ছে পরিস্থিতি। মানুষ অতীত উপনিবেশের তিক্ত অভিজ্ঞতা কিংবা অন্যায় শোষণ-শাসনকে এখনো ভুলতে পারছে না। যদিও আমাদের উপমহাদেশে মোগল শাসকদের তুলনামূলক অনেক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পর ব্রিটিশ শাসকরা শিক্ষাদীক্ষা, যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে আরো অনেক পরিবর্তনের সূচনা করেছেন, তবু মানুষ পরাধীনতার কথা ভুলতে পারে না। সে কারণেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কমনওয়েলথভুক্ত অনেক রাষ্ট্র, যাঁরা রানিকে তাঁদের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বহাল রাখার পক্ষে ছিলেন, তাঁরা এখন সে ধারা আর অব্যাহত রাখবেন কি না? নাকি তাঁরা ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের শেষ যোগসূত্রটুকুও ছিন্ন করে সম্পূর্ণ প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করবেন? কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ইংরেজিভাষী কিংবা তাদের বেশির ভাগ নাগরিকই ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত হলেও শেষ পর্যন্ত তারাও অতীতের যোগসূত্রটুকু রাখতে চাইবেন কি না সেটি এখন নিঃসন্দেহে দেখার বিষয়বস্তু।
বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে স্কটল্যান্ডের ব্যালমোরাল রাজপ্রাসাদে শপথ পাঠ করানোর পরই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য কিংবা বিশ্বমঞ্চ থেকেই প্রস্থান করেছেন। যুক্তরাজ্য বা ব্রিটিশ রাজনীতির অত্যন্ত এক কঠিন সময়ে অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন। একদিকে বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অঙ্গন ও অত্যন্ত ভঙ্গুর অর্থনীতি, অন্যদিকে আগামী বছর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের দাবি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমান্ত প্রশ্নে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ওপর আরোপিত বিধি-নিষেধ লিজ ট্রাসকে যে ব্যাকুল করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে অস্থির বিশ্ব যখন পরিত্রাণের পথ খুঁজছে তখনই দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন লিজ ট্রাস। লিজ জানেন ব্রিটেনে যেখানে এখন মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে এবং বিশ্বমন্দা ক্রমে ক্রমে গ্রাস করছে তাঁর দেশকে; সেখানে তাঁর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোনো অবকাশ নেই।
অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র এখনো চায় ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ চালিয়ে যাক। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সংঘর্ষ থামিয়ে একটি আপস-নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু সামনে আসছে ইউরোপ কিংবা পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে কঠিন শীত ও নিদারুণ শৈত্যপ্রবাহ। জনজীবন প্রায় সম্পূর্ণভাবেই স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় কিসের প্রতিরোধ লড়াই আর কিসের বিশ্ববাণিজ্য। জ্বালানি ও খাদ্যসংকট মোকাবেলা করতেই কেটে যাবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নতুন বছরের প্রায় মার্চ পর্যন্ত। তাতে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডার কোনো বিশেষ অসুবিধা নেই। কারণ তাদের রয়েছে পর্যাপ্ত জ্বালানি সম্পদ, খাদ্যশস্য ও বিশাল দেশীয় বাজার। সুতরাং বিশ্ব বিপন্ন হলেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তির অবস্থানেই বহাল থাকবে। তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকানো। চীন ও রাশিয়াকে ভবিষ্যতের সাময়িক সময়ের জন্য হলেও সব ক্ষেত্রে দুর্বল করে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ নোয়াম চমস্কি এ পরিস্থিতির সমালোচনা করতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, ‘এর নামই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ। ’ এটা যে কত সুদূরপ্রসারী ও বিভীষিকাময় তা সময়ই বলে দেবে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দীর্ঘ সত্তর বছরের শাসনের পর যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ক্ষমতাসীন হয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র তৃতীয় চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ। নতুন রাজা চার্লস ৭৩ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যসহ ১৪টি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ব গণমাধ্যমের কোনো কোনো সংবাদ বিশ্লেষকের ভাষায়, চার্লস হচ্ছেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মতোই ভাগ্যবিড়ম্বনার শিকার। দেশীয় ও বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তাঁরা দুজনই অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, যাঁদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অনিশ্চিত।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র চার্লস সম্পর্কে খুব একটা উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন না। তিনি জানতেন চার্লস খুব একটা ক্ষুরধার প্রতিভার অধিকারী নন। এ ছাড়া কঠোর জীবনাচরণ কিংবা শৃঙ্খলাবোধের দিক থেকেও তিনি ততটা সংযত নন। নতুবা তাঁর প্রথমা স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার জীবনের যে মর্মান্তিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে, তা হয়তো হতো না। রানি ও সমগ্র রাজপরিবার, যুক্তরাজ্য এবং সমগ্র বিশ্ববাসী তাতে আঘাত পেয়েছিল, মর্মাহত হয়েছিল। প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে তৎকালীন প্রিন্স চার্লসের বিবাহ অনুষ্ঠান ছিল একটি রূপকথার দৃশ্যাবলির মতো। তাতে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্ববাসী দুই চোখ ভরে তা উপভোগ করেছিল। রাজা চার্লসের সে বিয়ে তাঁর বর্তমান স্ত্রী কামিলার জন্যই সফল হতে পারেনি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাতে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিলেন। সে আঘাতের পর ৯৬ বছর বয়সেও অর্থাৎ মৃত্যুর আগেও তিনি চার্লসের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। শুধু চার্লসের ভবিষ্যৎ নয়, সম্পূর্ণ ব্রিটিশ সাংবিধানিক রাজতন্ত্র, স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং এমনকি কমনওয়েলথের ভবিষ্যৎ নিয়েও রানি বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন।
ব্রেক্সিট-উত্তর অথবা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ-উত্তর যুক্তরাজ্য বা ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তথ্যাভিজ্ঞ মহল এখন বহু কারণেই শঙ্কিত। তাদের অনেকের ধারণা, শুধু রাজতন্ত্রের শেষ যোগসূত্রটিই নয়, সমগ্র যুক্তরাজ্যের, যেমন—ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্ত থাকা কিংবা তার অখণ্ডতা নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় দেশীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির কথা সরকারের ওপর ছেড়ে দিলেও নিজ অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে কী করবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। তাঁর পূর্বপুরুষ, রাজা প্রথম চার্লসের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল ১৬৪৯ সালে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে। তখন থেকেই ব্রিটেনের পার্লামেন্ট শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং গণতন্ত্র ব্রিটেনে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। কিন্তু বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসের সে সম্ভাবনা না থাকলেও যুক্তরাজ্যের বর্তমান অখণ্ডতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান যুক্তরাজ্যকে শেষ পর্যন্ত যুক্ত রাখার কোনো মন্ত্র কি জানা আছে তাঁর? রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মতো তীক্ষ রাজনৈতিক দৃষ্টি, অভাবনীয় প্রজ্ঞা এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা কিংবা জনপ্রিয়তা তাঁর কতটুকু রয়েছে-এগুলোই এখন বিভিন্ন মহলের কাছে বিচার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শেষ কথা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের সামনে সব দিক থেকেই এ এক কঠিন সময় উপস্থিত হয়েছে। দেখা যাক সুচতুর ব্রিটিশরা কিভাবে তা মোকাবেলা করে।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
[email protected]