ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবীদ্বারে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
Published : Monday, 19 September, 2022 at 8:45 PM
কুমিল্লার দেবীদ্বারে নাজমুল হাসান (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার মোহনপুর পূর্বপাড়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনের সড়ক থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু ঘটেছে তা উদঘাটন হয়নি। তবে পারিবারিক ও পুলিশের তথ্যানুসারে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনেই ওই যুবকের মৃত্যু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হয়। 
নিহত নাজমুল হাসান (২৫) দেবীদ্বার উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। পেশায় জুট মিলের শ্রমিক। 
নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিহতের নিকটাত্মীয় জানান, জুট মিলের শ্রমিক নাজমুল স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে হাড়িখোলা এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতো। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রামের একটি জুট মিলে চাকুরীর সুবাদে চট্টগ্রামেই বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাশক্ত নাজমুল এক সপ্তাহ আগে খালার বাড়ি রাজামেহার বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে মোহনপুর এলাকায় সড়কের পাশে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। নিহতের প্যান্টের পকেটে মাদকজাত দ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ।  
নিহতের বড় ভাই সোহাগ মিয়া জানান, নাজমূলের মানষিক সমস্যা ছিল। প্রায়ই নিরুদ্দেশ থাকত। হাড়িখোলা জুট মিল ছেড়ে নাজমুল চট্রগ্রাম কালুরঘাট কর্নফুলি জুট মিলে চাকরি নেয়। সে ৫/৬দিন পূর্বে উপপজেলার রাজামেহার গ্রামে খালার বাড়িতে আসে। গতকাল বিকেলে খালার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, আজ তার মরদেহ খুঁজে পাই। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সেডিল টেবলেট দেয়া হয়। সেডিল টেবলেট অতিরিক্ত সেবনের পর তার মৃত্যু হয় বলে ধারনা করছি। 
তার স্ত্রী মানসুরা বেগম জানান, তার সাথে দেখা নেই অনেক দিন। আজ সকালে মোহনপুর গ্রামে এসে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আমি দু’বছরের শিশু কণ্যাকে নিয়ে কি করব কিছুই বুঝতে পারিছি না।
মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় আমার বাড়ির সামনের সড়কে একজন যুবক পড়ে কাতরাচ্ছে বলে জানতে পারি। স্থানীয়রা তার সাথে থাকা মোবাইল থেকে ফোন করে পরিবারে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন আসবে বলায় স্থানীয়রা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। রাজ যত গভীর হয় লোকজন যার যার ঘর চলে যায়। আমিও অসুস্থ্য থাকায় বের হইনি। ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে যেয়ে তার মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবার ও পুলিশকে খবর দেই। অতিরিক্ত নেশা করার কারনেই তার মৃত্যু হতে পারে।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, নিহতের শরিরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে পারি সে মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে দেয় সেডিল ট্যাবলেট অতিরিক্ত সেবনেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের নিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারন বলা যাবে।