ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আত্মহত্যা রোধে কাউন্সেলিং এর প্রাসঙ্গিকতা
Published : Thursday, 15 September, 2022 at 12:00 AM
আত্মহত্যা রোধে কাউন্সেলিং এর প্রাসঙ্গিকতানার্গিস খান  ||
বর্তমান সমাজে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় বিরাজমান হচ্ছে। এক অস্থিরতার সহজবোধ্যতা কাজ করছে তাদের মধ্যে । উন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর লেখচিত্র এরকম সহজপ্রাপ্যতায় ভরপুর। কারণ হিসেবে মনে করা হয় উন্নত দেশেগুলোর জনগণ শিক্ষিত, সচেতন এবং আইনের প্রয়োগও সেই সকল দেশে অনেক বেশি বিধায় তাদের দেশের জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া সহজসাধ্য নয়। অশিক্ষিত মানুষ জ্ঞানের স্বল্পতা আর আর্থিক অক্ষমতায় সত্য বুঝতে অপারগ বিধায় আত্মহত্যার কারণ, প্রতিকার তথাপি মূল্যোৎপাটন অসম্ভবপর হয়ে থাকে । উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা অধিক হলেও সারা বিশ্বেই কম বেশি তা চোখে পড়ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করছে। আমাদের অধিক জনসংখ্যার দেশে এর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার । অসহায়ত্ব ও ব্যর্থতার গ্লানি থেকে নিজেকে মুক্ত করণার্থে ও সমস্যার সমাধানে আমাদের দেশের কিশোর কিশোরী ও যুব সমাজের একটি বড় অংশ ভুল সিদ্ধান্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। যা ধর্মীয় দিক থেকে যেমন মহাপাপ ও নিন্দিত কাজ ,  তেমনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিচারেও জঘন্যতম , ঘৃন্যতম কাজ। তা থেকে পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রও চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
     পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা ও আদর মায়ামমতা থেকে বঞ্চিত হওয়া, মাদকাসক্ত, হতাশা  ,প্রতারণার শিকার , প্রেমে ব্যর্থতা , মানসিক অবসাদ , মা-বাবার কলহ প্রিয়তা,  একাকীত্ব , অর্থনৈতিক সংকট,  পরকিয়া প্রেম,  নৈতিক শিক্ষার অভাব , কর্মসংস্থানের স্বল্পতা ও সংকোচন, পুঁথিগত স্বল্প শিক্ষা ইত্যাদি কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরী যুব সম্প্রদায় পরিত্রাণের আশায়  ঁষঃরসধঃব মড়ধষ এর হিতাহিত জ্ঞানহীনতায় আত্মহত্যার পথকে সুগম হিসেবে বেছে নেয়। বিগত বছরগুলোতে এ দেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের মধ্যে এ প্রবণতা বিশাল আকারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদের ক্ষেত্রে ব্যক্তি , স্থান-কাল পাত্র ভেদে আত্মহত্যার কারণ ও প্রবণতায় ভিন্নতা রয়েছে । আত্মহত্যাকে চরম সুখ প্রাপ্তির সমাধান হিসেবে আত্মহত্যায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে। মানসিক  অসুস্থতায়ই এমন ভুল ধারণায় নিজেকে অবলীলায় ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সচেতনতামূলক শিক্ষার স্বল্পতায় এমনটা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞগণদের মুখ্য ধারণা। আত্মহননকারীর জন্য আত্মহনন সাময়িক সমস্যার সমাধান হলেও একটি পরিবারকে স্থায়ী ক্ষতি ও মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়।ক্ষতিগ্রস্থদের মানসিক সুস্থতার মেকী পরিচয়ে বৃথা চেষ্টা চালান অনেকে।
    একটি সমাজে ও পরিবারে একেক জন মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদায় একেক ধরনের হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষেরই তার মা-বাবা, ভাই-বোন , গুরুজন ও সমাজের প্রতি তার নিজস্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য  বিদ্যমান।  
কামনা বাসনায় নিপীড়িন মানুষকে আকুল করে তোলে। স্নায়ুতে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাতে রক্তিমাভা অনুভূত হয়। তেমনি প্রতিটি মানুষেরই উচিত নিজস্ব জায়গা থেকে পরিবার ও সমাজকে তার সর্বোচ্চটি দেওয়ার মানসিকতা অর্জনের। মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুদ আত্মখন্ডন কাজ করে। যারা অপ্রতিরোধ তারাই পারে সুষ্ঠু মানসিকতা অর্জনের ।শৈশব কৈশোরে মানুষ স্রোতবাহী নদীর মত  ভেসে চললেও যৌবনে  হৃদয়ে কম্পনের উপস্থিতি অনুভূত হয়। নানাহ কৌতুহলী  জিঞ্জাসায় প্রাণের স্পন্দন  অনুভূত হয় । যৌবনকে আবিষ্কারের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা চোখে পড়ে। নিজের সাথে জড়িত সবকিছু নিয়ে ভাবার অনুভূতিগুলো শাণিত করে। সচেতনতার গুরুত্বারোপ অতীব জরুরি হয়ে পড়ে। বৃষ্টিকে প্রবহমান নদীর সাথে একত্র করলে হবে না । বৃষ্টি হঠাৎ যেমন আসে তেমনি হঠাৎ চলেও যায়।  কিন্তু নদীর ধারা সতত প্রবহমান থাকে।  বিস্ময়ের প্রাণদ প্রবাহে ভেসে যায়।  তেমনি সমস্যার সম্মুখীন হলে কার্যকরী সমাধান খোঁজার মানসিক প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে। প্রকৃতি মানুষকে উজাড় করে সর্বোচ্চটা দিতে কৃপণতা করে না,  তেমনি প্রকৃতিকেও আমাদের ভালবাসতে হবে। আমাদের কাছে প্রকৃতির এ প্রত্যাশা নিছক অমূলক নয় । যেকোন সমস্যায় মানুষ পতিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই বলে আপন স্বার্থ চরিতার্থে আপন শরীরকে অবলীলায় অন্ধকারে ঠেলে দেয়া বিশেষ উন্মাদনা বৈ কিছুই নয়। প্রবল হতাশায় আক্ষেপ করা, এলোমেলো উৎক্ষিপ্ত হওয়ায়, যুক্তিহীন নতুন রক্তস্রোতে উষ্ণ হাওয়ায় পরিবার,  সমাজ,  দেশ ও দশের সাথে প্রতারণার শামিল। কৌতুহলের গভীরে প্রবেশ করলেও দৃষ্টির প্লাবন শুদ্ধ সঠিক হবার প্রয়াস থাকতে হবে।   সমস্যাহীন জীবন অনুভূত অনাকাঙ্ক্ষিত ঐশ্বর্য। এক ধরনের অভিসম্পাৎ। জীবনের সমস্যা সমাধানের কল্লোলিত ও সুভাষিত পথ বিদ্যমান।তাকে খুঁজে বের করতে হবে । কৌতূহলের গভীরে প্রবেশে করে আরোগ্য লাভ করতে হবে। সমাধানের পাখা ঝাঁপটিয়ে ধরতে হবে। জীবনের বৈচিত্র্যতাকে যৌক্তিক উপভোগ করতে হবে। পৃথিবীর কোন ধর্মই আত্মহত্যাকে প্রশ্রয় দেয় না। এটি একটি অযৌক্তিক, অপ্রত্যাশিত, অমীমাংসিত  ও আত্মরোলের কম্পমানতার সমাধান। মানুষ একাকী নয়, তার অনুভূতি অনুষঙ্গও নিঃসঙ্গ নয়। বিপুল অধীরতায় জীবনকে স্পর্শ করতে হবে। এটাই  নিয়ম, জীবনের অর্থ । একটি সমস্যাই জীবনের অর্থ নয়। হাজারো সমস্যার  সমাধানে জীবন বিচিত্র ও পূর্ণ। একটি প্রকাশিত ধারা প্রবাহে জীবনকে সিক্ত করতে হবে। চাতকের মতো প্রত্যাশী হতে হবে । চাতক যেমন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে।  চতুর্দিকে শত পানি থাকলেও সে পানি পান করে না । এক বিন্দু বৃষ্টির নির্যাসের অপেক্ষায় ঘাড় উঁচু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তা পান করে যৌবনময় হয়। তেমনি জীবনের প্রতি বিমুখতার কোন কারন উদ্ভূত হলেও নিজেকে ভালোবাসায়,  নিজেকে উৎরানোর  হাজারটি সমাধান বিদ্যমান আছে ।একটি সুযোগ হাত ছাড়া হলে অন্য সুযোগের কল্যাণী সন্ধান করতে হবে। প্রিয় প্রত্যাশায় হস্ত প্রসারণ করতে হবে।  নিজেকে আত্মত্যাগী করে হাহাকারের আর্তনাদ থেকে মুক্ত করতে হবে । এ সমস্যায়ই নিহিত আছে নতুন আগমনী সংকেত,  প্রত্যাশার অভিপ্রায়ে চিত্ত জাগরণ এমন ভাবনায় জাগরণে সামনে এগুতে হবে। হৃদয়ের অপ্রত্যাশিত অস্থিরতা আরেকটি নতুন জীবনের সূচনাপাত করছে । ব্যর্থ চেষ্টাও মূল্যহীন নয়।   যৌক্তিক চিন্তাকে জীবন উদগীরণে অভিবাদনে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। নিজেকে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে।  নিজস্বতার বিকাশকে অনুভব করতে হবে। নিজেকে, পরিবারকে ভালবাসতে হবে । পরিবারের প্রতি ,সময়ের প্রতি নিজস্ব দায়বদ্ধতাকে গুরুত্বসহকারে লাল কৃষ্ণচূড়ায় সুভাশিত করার অনুপ্রয়াস জাগাতে হবে।
    আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যাগুলো খুবই বেদনাদায়ক। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য নেতিবাচক, প্রতিটি মানব সন্তানের মধ্যে এমন কিছু লুকায়িত থাকে যার মূল্য স্বীকার্য  , গবেষকদের দৃষ্টিতে মানসিক চাপই আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। আমরা প্রতিনিয়ত অনেক মানুষের সাথেই মেলামেশা করছি। তাদের মধ্যে হয়ত  অনেকেই জানা অজানা মানসিক চাপে আচ্ছন্ন। তারাও প্রকাশ করছে না ভেতরের অগ্নিদাহ,  আমরাও তা আবিষ্কারের ভ্রুক্ষেপ করছি না। প্রয়োজন অনুভব করছি না, বৃষ্টিস্নাত গাছের ন্যায় বাহ্যিক সতেজ আমরা আপ্লুত হচ্ছি। কখনো হতাশার আচ্ছন্নতা আবিষ্কৃত হলেও সমাধানের মূল্যবোধের ক্ষেত্রটা অন্বেষণের বাইরেই থেকে যায় ।  অথচ একটু দৃষ্টিপাত হলেই সমাধানের প্রত্যয়ে ভিত্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এ বিষয়ে চিন্তার পরিচ্ছন্নতার শুরুটা প্রায় করা সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।  নানান বাঁধার বেড়াজাল ছিন্ন করে শিক্ষার্থীকে সচেতন করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টির মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব।  বিভিন্ন ঘটনার আড়ালে কারানুসন্ধান করে শিক্ষার আলোর বেসাতি ছড়ানোর মাধ্যমে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নিশ্চিত করতে হবে।  খাদ্য ও পানির যেমন রসনার উৎস মিটিয়ে আভিজাত্যের অন্য স্তরে পৌঁছে যায়।   তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশু শ্রেণী থেকেই বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে,  কাউন্সেলিংয় এর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীর মনোগতির সঠিক পথ পরিচর্যার মাধ্যমে আত্মহত্যা রোধ করতে পারা ইতিবাচক পথ।  কাউন্সেলিং ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীর মানসিক অবসাদগ্রস্থতাঃ স্বরূপ উৎঘাটনের পথ সুগম করা ও সঠিক সমাধান এখন আত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।  প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে কাউন্সেলিং প্রদানের প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবী।  এ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের মানসিক শক্তির অতিশয্য অর্জন অবশ্যম্ভাবী। শিক্ষার্থীর মননকে দায়িত্বশীল শৃঙ্খলিত সচেতনতায় মুক্তির পথ বাতলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীর জীবনের সুশৃংখল পথকে অলংকৃত করতে হবে নৈতিক শিক্ষা ও কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে। কোন কোন মানুষ শাকান্ন থেকে যে তৃপ্তি লাভ করতে পারে ধনী ব্যক্তি বিলাসী আহার্যে হয়ত সেটা পায় না। তেমনি যৌক্তিক ও সঠিক কাউন্সেলিং মানুষকে সঠিক পথের সন্ধানের চেতনায় তৃপ্তি দিতে পারে। তাকে বুঝাতে হবে জীবনে নানা রঙের খেলা আছে তা কখনও জয়ের, কখনও  ভোগের আবার কখনও পরাজয়ের, তাদের বোঝাতে  হবে দ্বন্দ্বের জটিল বুনট।  আমাদের দাঁড়াতে হবে সে কঠিন ও সংকটময় মুহূর্ত মোকাবেলার জন্য। তাদের বুঝাতে হবে জীবনটা বিকল্পের পুনরুচ্চারণ। সভ্যতা যেমন বিলুপ্ত হয়ে আবার নতুন সভ্যতার সৃষ্টি হয়। তেমনি মানুষের জীবনেও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নতুন জীবনের সন্ধান করা অপরিহার্য জীবনের সৌন্দর্য্যময়তার জন্য। জীবনকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য , না পাওয়ার ব্যর্থতা, হতাশাতে মনে বিভীষিকার মতো ঝুলালে জীবনের রেখা স্থবির হয়ে পড়বে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের বড় সমস্যা “একাকীত্ব” কে আস্তাকুঁড়ে  ফেলে দিতে হবে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে। নিয়মিত কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ,প্রাপ্তির অধিক প্রত্যাশা কে পরিকল্পিত চাঞ্চল্যই বলা যায়। এ চাঞ্চল্যের অযৌক্তিকতাকে যুক্ত হতে হবে আনন্দ আর জ্যোতির্ময়তায়, তাহলেই হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তি জয়ী হবে।   
সর্বোপরি সমাজ ব্যবস্থার যৌক্তিকতার সন্ধান  করতে হবে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে। মাটির স্পর্শ থেকে মানুষ বঞ্চিত হলে হবে না । গ্রামাঞ্চলে মানুষের মাটির স্পর্শ মানুষকে প্রতিবেশী, সমাজবদ্ধ জীব বলে মানতে বদ্ধপরিকর যা শহরের মানুষের মধ্যে অনুপস্থিত। পল্লীর আদর্শ সহনশীলতাবোধ, প্রতিবেশী দের জাগ্রত মানসিকতাকে শহরে ছাড়িয়ে দিতে হবে। কোন সমস্যা বা হতাশাকে বা অপ্রাপ্তিতে নিরাশ না হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতার পথ বাতলে দিতে হবে । মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বিশ্ব প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। নগরে আমোদ থাকলেও আত্মার বিশ্রাম পরিলক্ষিত হয় না, যা পল্লীতে বিদ্যমান। নগরের আদর্শ ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে পরিহার করে আত্মার আঁধার তৈরি করতে হবে। জীবন থেকে পালিয়ে না গিয়ে জীবনকে উপভোগ করে শিক্ষা দিতে হবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন করে সৃষ্টি করার মানসিকতা তৈরির প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে । ব্যক্তির আনুগত্যকে সত্যের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষ শুধু মানবস্বার্থ সিদ্ধির যন্ত্র নয়। তবেই মানবিক স্বাস্থ্য রচিত হবে।  

লেখক: প্রিন্সিপাল, কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ।