প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরো এগিয়ে যাবে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আইটি খাতের দক্ষতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে রাশিয়ান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজন আলোচনা করেন। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সি ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন (আইডিটিপি) ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাশিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রোবটিকস্, ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং, এআই, এআর, ভিআরের ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য হাইটেক পার্কে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে উদ্যোক্তা উন্নয়ন টেকসই স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ-রাশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন, ডিসেম্বরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সামিটে রাশিয়ান আইটি কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ, এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রস্তাব রাখেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এসব বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার থার্ড সেক্রেটারি এনথন ভারিসেনসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।