দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতির রেকর্ড, খাদ্য ঘাটতি নেই বাংলাদেশে
Published : Friday, 19 August, 2022 at 12:00 AM
দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলোতে এবার খাদ্য মূল্যস্ফীতি বহু বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে
রয়েছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি অনুভব করেনি।
এমনটিই জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
ধারণা করা হচ্ছে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত
খাত মিলে দক্ষিণ এশীয়া গড় মূল্যস্ফীতি হবে সাড়ে ১৫ শতাংশ। যার প্রধান কারণ
হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যখাত।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের প্রধান
কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে
সংস্থাটি।
তারা জানায়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ
সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবিলায় কৃষিনীতি সামঞ্জস্য করেছে বলে জানায়
বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে,
কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, ভর্তুকি বাড়িয়েছে সারে এবং
রপ্তানিকারকদের একটি নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোর
বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এর কারণ
সারের অভাব এবং তাপমাত্রা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য খাদ্য সরবরাহের ঘাটতিতে
রয়েছে ভুটান ও শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কায় কৃষি উৎপাদন ৪০-৫০ শতাংশ কম হয়েছে।
সারের ঘাটতি এবং খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাবে এই অবস্থা হয়েছে।
সার এবং জ্বালানির ঘাটতি খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে আশঙ্কা করেছে
বিশ্বব্যাংক।
তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত খাদ্যে কিছুটা
স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। ভারত ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম
চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।