
লাল
কার্ডের কারণে ফাইনালে পাওয়া যাবে না মিডফিল্ডার শহীদুল ইসলামকে। দলের
সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরাজুল ইসলামের হালকা চোটও ভাবনা বাড়িয়েছে। তবে এ নিয়ে
দুঃশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার বিজন বড়ুয়া।
ফাইনালেও ভারতকে হারানোর ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী তিনি।
ভুবনেশ্বরের
কালিংগা স্টেডিয়ামে আগামী শুক্রবার শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
পরিসংখ্যানের পাতায় এগিয়ে ভারত; এ পর্যন্ত পাঁচ আসরের সবগুলোতেই চ্যাম্পিয়ন
তারা। বাংলাদেশ একবারই রানার্সআপ হয়েছে, ২০১৯ সালে।
এবারের
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছুটছে দুরন্ত গতিতে। একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে
ফাইনালের মঞ্চে উঠেছে পল থমাস স্মলির দল। ভারতের একমাত্র হারও বাংলাদেশের
বিপক্ষেই।
রাউন্ড রবিন লিগের সেই ২-১ গোলের জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে
বাংলাদেশ। বাফুফের মাধ্যমে বুধবার পাঠানো ভিডিও বার্তায় বিজনও প্রত্যয়ী
কণ্ঠে জানালেন প্রথমবারের মতো এ শিরোপার জয়ের আশাবাদ।
“শুরু থেকেই
আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ দল ছিল এবং আমি এটা আগে থেকে বলে আসছি। আমি
নিজেও খেলোয়াড় ছিলামৃতো এই ছেলেদের অনুশীলন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম যে এরা
ফাইনাল খেলবে। অনুশীলনে সব খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত ছিল।“
“ফাইনালে আমরা
অবশ্যই জিততে চাই। বিগত সময়ে (রাউন্ড রবিন লিগে) আমরা যেমন ভারতের বিপক্ষে
জিতেছিলাম, সেই একইভাবে জিততে চাই। কোচ সেভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। সে
অনুযায়ী আশা করি ফাইনাল খেলব আমরা।”
শহীদুলের লাল কার্ড ও মিরাজুলের
চোটে দলের আত্মবিশ্বাস নড়ছে না বলেও জানালেন বিজন। বাকি যারা আছে, তাদের
সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন জাতীয় দলের এই সাবেক গোলরক্ষক।
“দলে একটু সমস্যা
আছে, যেহেতু শহীদুল ইসলাম গত ম্যাচে লাল কার্ড পেয়েছে। মিরাজুল ইসলামের
একটু ইনজুরি আছে। এর বাইরে সবাই সুস্থ আছে। তবে আমার মনে হয়, আমাদের দলে যত
খেলোয়াড় আছে, তারা ১৯-২০, এখানে কোনো সমস্যা হবে না। কোচও সেভাবে
পরিকল্পনা সাজাবে। আশা করি, ফাইনাল আমরা জিতব।