ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
তিন সহস্রাধিক পরিবারে বিনামূল্যে পুষ্টি যোগান
কুমিল্লায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানে আগ্রহী হচ্ছে অনেকে
Published : Tuesday, 2 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 02.08.2022 1:01:39 AM

তিন সহস্রাধিক পরিবারে বিনামূল্যে পুষ্টি যোগানতানভীর দিপু:
বিনামূল্যে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কুমিল্লা জেলায় ৩ হাজার ৯৪ পরিবারকে তৈরী করে দেয়া হয়েছে পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান। কৃষি অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই প্রকল্প শুরু করা হয়। প্রথম দিকে এই বাগান প্রকল্পে আগ্রহীর সংখ্যা কম থাকলেও দিন দিন তা বাড়ছে। একটি পরিবারের একখণ্ড পরিত্যাক্ত জমি থাকলেই তাদেরকে বিভিন্ন রকম শাক-সবজির বীজ, সার এবং পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এই কৃষি প্লট থেকেই একটি পরিবার তাদের দৈনিক পুষ্টি চাহিদার শাক সবজি সংগ্রহ করতে পারছে। বাজার থেকে শাক সবজি কিনতে খরচ হচ্ছে না অতিরিক্ত টাকা।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে একখণ্ড জমিও যেন পতিত না থাকে- তাই এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবার যেন তাদের পরিত্যক্ত জমিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে তাই সরকারি ভাবে এই বাগান করে দেয়া হচ্ছে। তিন হাজারের অধিক পরিবারকে এই বাগান করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ শতাধিক কৃষককে দুই দিন করে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লার লালমাই শাসনপাড় এলাকায় হুমায়ুন কবির তার বাড়ির পাশেই পরিত্যক্ত জমিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তৈরী করেছেন সবজি পুষ্টি বাগান। দুই পাশের মাচায় লতানো শাক  সবজি এবং মাঝখানের ৫টি বেডে তিনি রোপন করেছেন ডাটা শাক, পুঁইশাক, বেগুন, লালশাক, লেবু। এাড়াও এই বাগানের চারপাশেই রোপন করা আছে ফলের গাছ। বাগানের চারপাশের যে নিরাপত্তা জাল তা-ও দেয়া হয়েছে কৃষি বিভাগ থেকে। ষাটোর্ধ্ব হুমায়ুন কবির এবং তার স্ত্রী অবসর সময়ে বাগানের পরিচর্যা করে থাকেন এবং প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি তুলে নেন।
সবজি পুষ্টি বাগান চাষী হুমায়ুন কবির বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আমরা এই বাগান করেছি। প্রতিদিনই এই বাগান থেকে কোন না কোন শাক সবজি তোলা হচ্ছে। যা আমাদের প্রতিদিনের শাক সবজির চাহিদা মেটাতে সহযোগিতা করছে। শুধু জমিটাই আমার-আর এই জমিটা খালি পরিত্যক্ত পরেছিলো। কৃষি বিভাগ এসে বাগান করে দিলো- এখন আমার দেখা দেখি অনেকেই এই বাগানে উৎসাহিত হচ্ছে।
লালমাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই উপজেলাতে আমরা ২৪০টিরও বেশি পারিবারিক সবজি বাগান করে দেয়া হয়েছে। এসব বাগান থেকে একটি পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নিত্যদিনের সবজি সংগ্রহ করতে পারছে। এতে হাতের কাছেই যেমন শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে তেমনি অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে। প্রথমদিকে আগ্রহীদের সংখ্যা কম থাকলেও দিন দিন এই পরিবারগুলোর সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি পরিবার সত্যিই খাদ্যগুণ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।