
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় জমে উঠেছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার
প্রচারণা। সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালাচ্ছেন
প্রার্থীরা। সাধারণ মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি একে অপরের বিরুদ্ধে
করছেন অভিযোগও।
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ
অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের কাছে টানতে বিরামহীনভাবে
ছুটে চলেছেন প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী। যাচ্ছেন ভোটারদের
দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সকাল থেকেই শুরু হয় প্রার্থীদের
ছুটে চলা, চলে রাত ৮ টা পর্যন্ত। তাদের এমন বিরামহীন প্রচারণায় উৎসবের
নগরীতে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা; পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগর।
এদিকে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় বাঁধার সম্মুখীন
হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা
নিজাম উদ্দিন কায়সার। মঙ্গলবার নগরীর রামঘাট এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময়
সাংবাদিকদের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম
উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘আমার সমর্থকরা প্রচার প্রচারণার সময় বাঁধার সম্মুখীন
হচ্ছে। ‘ইনডাইরেক্টলি’ হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের যেসব
ম্যাজিষ্ট্রেটগণ মাঠে আছেন- তারা এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিষয়টি
আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানাবো।’
অপরদিকে সকাল
১১ টা থেকেই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশ এলাকার বাদুরতলা ও ঝাউতলা এলাকায়
প্রচারণা শুরু করেন মেয়র প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা
মনিরুল হক সাক্কু। এসময় তিনি দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট এসময় তিনি ভোট চান
নগরবাসীর কাছে। সাক্কু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার পোষ্টার
ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি,
সাথে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি। আমি কোথাও কাউকে ডেকে এনে ধমকিয়ে ভোট
নেয়ার চেষ্টা করি না।’
তার বিরুদ্ধে আনা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দুর্নীতির
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে
দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এখন কেন বিষয়টি তুলছেন? আগে তারা কোথায় ছিলেন, তখন
কেউ করলো না কেন? অভিযোগ থাকলে তো সরকার আছে - তারা দেখবেন।’

অপরদিকে
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, প্রচার প্রচারণা নিয়ে
এখনো পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি চাই কুমিল্লার মানুষ
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয় যুক্ত করুন। এদিন সন্ধ্যা
পর্যন্ত নগরীর রাজগঞ্জ, মনোহরপুর, নিউমার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
সন্ধ্যার পর নগরীর মুরাদপুর এলাকায় একটি উঠান বৈঠকে অংশ নেন রিফাত।
প্রার্থীদের
নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ
শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ যা পাচ্ছি তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া
হচ্ছে। অনেক সময় অসত্য অভিযোগও পাওয়া যায়, তাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসন যারাই আমরা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট-
তারা চাই সকল প্রার্থী যেন সঠিকভাবে প্রচার প্রচারণা করতে পারেন। আমরা চাই
না কেউ কাউকে বাঁধা দিয়ে ব্যঘাত ঘটাক।’