
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার
চতুর্থ দিন সোমবার ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রধান তিন প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী
আরফানুল হক রিফাত নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডের খন্দকার হক টাওয়ার, সাত্তার খান
কমপ্লেক্স, সিটি মার্কেটসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে গণসংযোগ করেন। এসময় তার
সাথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নির্বাচন পরিচালনা
কমিটির সদস্যবৃন্দ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার
সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী
মোঃ মনিরুল হক সাক্কু নগরীর জিলা স্কুল রোড, কান্দিরপাড় এলাকা, নজরুল
এভিনিউ, রাণির বাজার সড়ক ও আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ
করবেন।
অপরদিকে
এর আগে সকালে নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার শুভপুর,
গাংচরসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেন ঘোড়া প্রতীকের
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার।

এদিকে প্রচারণায় নেমে
কুমিল্লা নগরীর উন্নয়ন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেন দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী
আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার।
তারা বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এ পর্যন্ত নগরবাসী
কাঙ্খিত সেবা পায়নি। যানজট, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়
তাদের।
আরফানুল হক রিফাত বলেন, যানজট সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে
কুমিল্লাবাসীকে দুর্ভোগে ফেলেছে। সাবেক মেয়র সাক্কু কুমিল্লার উন্নয়নে ১০
বছর সময় পেয়েছেন। এর আগে তিনি ৬ বছর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। মোট ১৬ বছরে
তিনি যানজট সমস্যার কোনো সুরাহা করতে পারেননি। আমি কুমিল্লাবাসীকে আশ্বস্থ
করতে পারি, আমি যদি নির্বাচিত হই- আগামী ১ বছরের মধ্যে কুমিল্লার যানজট ও
জলাবদ্ধতার সমস্যা এক বছরের মধ্যে শেষ করবো। কুমিল্লার জনগণের সমস্যা নিয়ে
আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বসবো। আমার যা কিছু করণীয় আমি সব করবো।
স্বতন্ত্র
প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত কুমিল্লা নগরবাসী
পরিবর্তন চায়। সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিন হলেও কুমিল্লার মানুষ
এখনো কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত। এজন্যই নগরীর সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকে
তাদের কণ্ঠ হিসেবে প্রার্থী করেছেন। আমি নির্বাচিত হলে তাদের প্রত্যাশা
পূরণ করবো।
অভিযোগের বিষয়ে সদ্য বিদায়ী মেয়র ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, সমালোচনাকারীদের কথায় আমি
কান দেই না। সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দুইবারই কুমিল্লাবাসী
আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার সাধ্যমতো উন্নয়ন করেছি। এখন আরো বড়
প্রকল্প আসছে, আরো উন্নয়ন হবে। জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে পুনরায় মেয়র
নির্বাচিত করেন আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবো।
অপর এক প্রশ্নের
জবাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, হুমকি ধমকিকে ভয় পায় না
মনিরুল হক সাক্কু। তাহলে ৪২ বছর ধরে রাজনীতি করতে পারতাম না। নির্বাচনী
প্রচারণা করতে গেলে অন্য কোনো প্রার্থীর মুখোমুখি হলে আমি এড়িয়ে চলি।
অন্যরাও চাইলে আমাকে এড়িয়ে চলতে পারে। ব্যবহারই হচ্ছে মুল বিষয়। ভোটাররা
ব্যবহার দেখে ভোট দিবে। আমিও চাইলে এসি রুমে বসে অনেক কিছু বলতে
পারি,কিন্তু আমি বলি না। এসব নির্বাচনী কাজের মধ্যে পড়ে না।
প্রচারণা
চালানোর সময় একই প্রশ্নের জবাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার
বলেন, সরকার দলীয় লোকজন আমার সমর্থকদের মামলা হামলার ভয় দেখাচ্ছে। বিভিন্ন
ওয়ার্ডে প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। এসব পার করেও আমি আমার প্রচারণা
চালিয়ে যাচ্ছি।
এসব বিষয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন,
অন্যদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। ভোটেই
মানুষ কথার জবাব দিবে।