রণবীর ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই কর্মীকে গুলি করার ঘটনায় এবারও জামিন পাননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ।  রবিবার (২৯ মে) কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে হাজীর হয়ে রেদোয়ান আহমেদের জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পাশাপাশি মামলার বাদীপক্ষ তার রিমান্ড আবেদন করলে সেটিও নামঞ্জুর করা হয়।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৭ এ ড. রেদোয়ান আহমেদের জামিনের আবেদন করেন তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা। এসময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এছাড়া বাদীপক্ষ ড.রেদোয়ান আহমেদের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড আবেদনও নামঞ্জুর করেন।
আগে গত ২৪ মে জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেও জামিন পাননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজালাল মিঞা শিপন জানান, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রোগ্রামে ড. রেদোয়ান আহমেদ হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে গুলি চালান। বিজ্ঞ আদালতে আমরা তার জামিনের বিরোধীতা করে বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। বিজ্ঞ আদালত আমাদের যুক্তি-তর্ক আমলে নিয়ে রেদোয়ান আহমেদ এর জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা জামিন আবেদনের পাশাপাশি রিমান্ড আবেদন বাতিলের আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড ও জামিন বাতিল করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদপুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। দুপুর ১টার পর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে শুরু করে। দুপুর আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের সাথে কথা হয়। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলডিপি’র প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান। এসময় তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কোন এক ছাত্রলীগ কর্মীরা রেদোয়ান আহমেদ এর গাড়িতে তরমুজ দিয়ে ঢিল ছুড়ে। এসময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুইটি গুলি করেন। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।