Published : Thursday, 12 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.05.2022 11:45:35 PM

আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি।।
কুমিল্লা জেলায় প্রথমবারের মতো বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ভিকতোলা গ্রামে স্কুলটি স্থাপন করা হয়। বুধবার দুপুরে স্কুলটির শুভ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
এসময় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারিকুল ইসলাম নয়ন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, উপজেলার ভিকতলা এই গ্রামটিতে নবনির্মিত স্কুলটিতে আনুমানিক ৩০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখার সুযোগ পাবে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় শিশুরাও পড়ালেখার সুযোগ পাবে। বেদে সম্প্রদায় শিশুদের পড়াশোনার মনোযোগী করতে স্কুলটিতে খেলাধুলা করার মত আকর্ষণীয় খেলনা সামগ্রীরও ব্যবস্থা রাখা হবে।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ভিকতলা, গোলাপের চর এবং মেঘনা উপজেলায় পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলার ভিকতলায় বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য জেলায় প্রথমবারের মতো এই স্কুলটি স্থাপন করা হয়। আশা করি এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় পিছিয়ে থাকা বেদে সম্প্রদায় শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজার। বাজার থেকে উত্তর দিকে ভিকতলা গ্রাম। এই গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে বসবাস করেন দেড় হাজারের বেশি বেদে সম্প্রদায়। ওই এলাকায় মহাসড়ক পেরিয়ে ইলিয়টগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক পেরিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া সাধারণ স্কুলে বেদে সম্প্রদায়ের সন্তানদের লেখাপাড়া করাটা অনেকে ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। তাই বেদে সম্প্রদায়ের জন্য স্বতন্ত্র এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এদিকে এই স্কুলটি পেয়ে বেদে সম্প্রদায় শিশু এবং ওই এলাকার বেদে সম্প্রদায়দের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভিকতলায় এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। বেদে সম্প্রদায়ের শিশুরা বলেন, ‘আমরা এখন থেকে ইস্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে পারবো। আমাদের খুব আনন্দ লাগতেছে।’