চৌদ্দগ্রামের গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
Published : Sunday, 8 May, 2022 at 12:00 AM
মজিবুর রহমান বাবলু,চৌদ্দগ্রাম ।।
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের সাকছি সৈয়দ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা
কমিটির উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এলাকার
গুণীজন, ব্যক্তিবর্গ ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান
অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চিওড়ার কৃতিসন্তান, বাংলাদেশ সরকারের
অতিরিক্ত সচিব ও সদস্য (প্রশাসন) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মোঃ
মিজানুর রহমান শহীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, এটিএন
বাংলা, এটিএন নিউজ ও ইউএনবি কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক।
বিদ্যালয়
পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চিওড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জসিমের
সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও
সাবেক বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ মকবুল
আহমেদ, ভুলকরা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, বিশিষ্ট
সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ মিলন, শহীদ উল্লাহ ভূঁইয়া, মনির আহমেদ,
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী
প্রকৌশলী সৈয়দ নিজাম উদ্দিন, জাপান প্রবাসী সরোয়ার হোসেন কচি প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক রিয়াজুল ইসলাম ফারুক।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান শহীদ বলেন,
সাকছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মকবুল আহমেদসহ যারা এই
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের অবদান চির-স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অবহেলিত
এই জনপদে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। আমরাসহ এই এলাকার শিক্ষার্থীরা বহু
দূরে হেটে গিয়ে চিওড়া ও ধৌড়করাতে পড়া-লেখা শিখতে হয়েছে। আশা করি এই
বিদ্যালয়টি অচিরেই কলেজে রুপান্তরিত হবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্যোশে
বলেন, তোমরা আধুনিক ডিজিটাল যুগে মোবাইল ও ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহার করবে।
অসৎ ও খারাপ কাজে ব্যবহার করবে না। নিয়মিত পত্রিকা পড়বে। বড়দের শ্রদ্ধা
করবে, সালাম দিবে। নম্রনীয় মনোভাবে নিয়ে চলবে। দাম্ভিকতা পরিহার করবে।
মনোযোগ দিয়ে পড়া লেখা শিখবে। শিক্ষার জন্য প্রয়োজনে শিক্ষকদের বিরুক্তি
করবে। তোমার কি আছে আর কি নেই তা নিয়ে হতাশ না হয়ে প্রতিযোগিতা মোকাবেলা
করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তবেই সফল হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি
আরো বলেন, কোন শিক্ষক যদি ছাত্রদের বিরুক্তি সহ্য করতে না পারে ওই শিক্ষকের
শিক্ষকতা করার দরকার নেই। শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা কাউন্সিলিং করে লেখাপড়ার
বিষয়ে প্রদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে
হবে।
অনুষ্ঠানে শেষে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মকবুল আহমেদসহ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠান অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এলাকার গুণীজন, ব্যক্তিবর্গ ও কৃতি
ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান হয়।