
গোলের
খেলা ফুটবল। জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় এই গোলেই। তাই স্কোরলাইনই শেষ কথা। তবে
সবসময় গোল সব কথা বলে না। সুন্দর ফুটবলে উপভোগ্য ম্যাচে মন ভরানোও একটা
ব্যাপার। যেটি হলো বার্সেলোনা-রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচে। জিতলো বার্সেলোনা,
তবে মুগ্ধতা ছড়ালো সোসিয়েদাদ!
বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগায় সোসিয়েদাদের
মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ফিরেছে বার্সেলোনা। ১১তম মিনিটে পিয়েরে-এমেরিক
অবামেয়াংয়ের গোল গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। গোটা ৯০ মিনিটে ওই একটিই গোল। ফলে
বার্সেলোনা পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
স্কোরলাইন কিংবা পয়েন্ট টেবিলের এই হিসাব দিয়ে আসলে রিয়ালে অ্যারেনার
ম্যাচের দৃশ্যপট বোঝানো যাবে না।
শুরুর গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও সময়
যত গড়িয়েছে পারফরম্যান্সে তত পিছিয়েছে তারা। সোসিয়েদাদের আক্রমণে কোণঠাসা
হয়ে পড়া কাতালানরা কেবল গোল বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছে। কোচ জাভির যে পজেশন
নির্ভর ফুটবল, সেটিও খেলতে পারেনি প্রতিপক্ষের প্রেসিং ফুটবলে।
ইউরোপা
লিগ থেকে বিদায়ের পর কাদিজের বিপক্ষে হেরে যায় বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে টানা
দুই হারের পর সোসিয়েদাদের মাঠেও কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। গোটা
ম্যাচে লক্ষ্যে একটিই শট নিতে পেরেছে, যেটিতে গোল পেয়েছে। এরপর শুধুই
ব্যর্থতার ছবি। বিপরীতে ৮ শট নেওয়া সোসিয়েদাদ লক্ষ্যেই রেখেছে ৫টি। দুঃখ
হলো, একটাতেও সফল হয়নি। বল পজেশনেও তারা এগিয়ে। সোসিয়েদাদের ৫৬ শতাংশের
বিপরীতে কাতালানদের পজেশন ৪৪ শতাংশ।
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জিতে ফেরার
তৃপ্তি থাকলেও ঠিক মন ভরেনি বার্সেলোনার। বরং সোসিয়েদাদের ফুটবলের প্রশংসা
ঝরেছে কোচ জাভির কণ্ঠে। কোচ হিসেবে বার্সেলোনায় ফেরার পর এমন ভোগান্তিতে
তাকে পড়তে হয়নি কখনও।
ম্যাচ শেষে সাবেক মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘নভেম্বরে
দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে এই ম্যাচে। রিয়াল
সোসিয়েদাদ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমাদের খাদের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছিল।
আমার মতে তাদের অন্তত ড্র প্রাপ্য ছিল।’
অর্থাৎ, সোসিয়েদাদের খেলায় মুগ্ধ প্রতিপক্ষের কোচও। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে গোলটাই যে শেষ কথা!