Published : Thursday, 2 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 02.12.2021 12:03:22 AM

নিজস্ব
প্রতিবেদক: গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহার কিলিং
মিশন শেষ করে পর দিন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট চলে যায় মামলার প্রধান আসামি শাহ
আলম। সেখানে গিয়ে তার সহযোগী এবং ‘জেল পার্টনার’ জুয়েলের কাছে হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত অস্ত্র রেখে একরাত অবস্থান করে আবার পালিয়ে যায় সে। নাঙ্গলকোটের
গান্দিচি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার শাহ আলমের সহযোগি
শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য পায় পুলিশ।
জুয়েলের কাছ থেকে পাওয়া রিভলবার ও পিস্তলগুলো কাউন্সিলর সোহেল কিলিং মিশনে
শাহ আলম ব্যবহার করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুয়েল। গত ৩০
নভেম্বর রাতে শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা
পুলিশের সদস্যরা। গ্রেপ্তার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল(৪৮) নাঙ্গলকোট
উপজেলার গান্দাচি মজুমদার বাড়ির মোঃ দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। কুমিল্লা
কারাগারে থাকাকালীন সময়ে শাহ আলম ও জুয়েলের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে
সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে বলে জানা যায়।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক
মামলায় জুয়েল ও শাহ আলমকে আসামি করে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছেন বলে
জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাস।
জুয়েলের কাছ
থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, একটি
বিদেশী রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও দুই পিস্তলের ম্যাগাজিন।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা
গেছে-‘উদ্ধারকৃত অস্ত্র দুইটি গত ২২ নভেম্বর কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেল এর হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহার নামীয় ১ নং আসামি মোঃ
শাহ আলম(২৯) এর ব্যবহৃত অস্ত্র।’ হত্যাকন্ডের পরদিন ২৩ নভেম্বর আসামি শাহ
আলম রাত্রিবেলা জুয়লের বাড়িতে যায়। ঐদিন রাতেই শাহ আলম তাকে কাউন্সিলর
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি নিরাপদে রাখতে বলে। জিজ্ঞাসাবাদে
আরো জানা যায়, তারা দুইজনই কারাগারে বন্দী থাকাকালীন সময়ে পরিচিত হয় এবং
তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে শাহ আলম অস্ত্র দুইটি জুয়েলের
হেফাজতে রেখে পর দিন ২৪ নভেম্বর সকালে স্থান ত্যাগ করে অজ্ঞাত স্থানে চলে
যায়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, জেলখানায়
থাকাকালীন সময়ে শাহ আলম ও জুয়েলের পরিচয় হয়। কিলিং মিশন শেষে শাহ আলম এই
অস্ত্রগুলো নিয়ে জুয়েলের বাড়ি যায় এবং এক রাত অবস্থান করে আবার পালিয়ে যায়।
জুয়েলের কাছে এই অস্ত্রগুলো রেখে যায়। পুলিশের জোরালো ধারনা, কাউন্সিলর
সোহেলে ও হরিপদ সাহা হত্যায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার হয়েছে।
জোড়া খুনের
ঘটনায় এপর্যন্ত ৫ জন এজাহার নামীয় ও মামলার তদন্তে নাম উঠে আসা ২ জন
গ্রেপ্তার রয়েছে। এছাড়া এজাহার নামীয় আরো দুই আসামি পুলিশের সাথে
গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। পলাতক রয়েছে প্রধান দুই আসামি শাহ আলম ও জেল
সোহেলসহ এজাহার নামীয় মোট ৪ আসামি।