ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়ায় কুৎসা রটনাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
Published : Sunday, 31 October, 2021 at 12:00 AM
ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, উপজেলা সদরের  ধান্যদৌল শাহী ঈদগাহ কবরস্থান ভরাটসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে বাধা প্রদানকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা ১১ টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার ধান্যদৌল বাজারে ব্রাহ্মণপাড়া- মিরপুর সড়কের পাশে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলা সদরে অবস্থিত মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আব্দুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, যারা স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন, তাদের ক্ষমতা নেই একটি প্রতিষ্ঠান করার। প্রবাসী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী প্রবাসে থেকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক পরিশ্রম করে তিলে তিলে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে কুমিল্লা বোর্ডে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তার এ ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার কিছু কুচক্রী মহল মোশারফ হোসেন খান চৌধুরীসহ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।  তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। এছাড়া বক্তারা আরো বলেন, যারা ধান্যদৌল শাহী ঈদগাহ কবরস্থান ভরাটে বাধা সৃষ্টি করছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করে কঠিন বিচার করতে হবে। অন্যথায় এলাকাবাসীসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ কঠিন আন্দোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণকারীরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ আহাম্মদ লাভলু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল নয়ন, প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের, বিভিন্ন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষকবৃন্দ, এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।