
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
শুরুটা হেসে খেলেই করলো ওমান। প্রথম পর্বে (বি গ্রুপ) পাপুয়া নিউ গিনিকে
(পিএনজি) ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ১৩০ রানের লক্ষ্য
দিলেও কোনওভাবেই প্রতিপক্ষকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি প্রথমবার বৈশ্বিক মঞ্চে
খেলতে নামা পিএনজি। উল্টো কোন উইকেট না হারিয়ে টি-টোয়েন্টির তৃতীয়
সর্বোচ্চ রান তাড়ার নজির গড়েছে ওমান।
জিশান মাকসুদ শুরুতে কেন
ফিল্ডিং নিয়েছেন, তার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াসন ও
জাতিন্দর সিং। ঝড়ো সূচনায় শুরু থেকে আসাদ ভালার দলকে শাসন করেছেন।
জাতিন্দরের ৪২ বলে করা ৭৩ ও আকিব ইলিয়াসের ৪৩ বলে করা ৫০ রানই ম্যাচ জয়ের
জন্য যথেষ্ট ছিল। বিশ্বকাপে ওমানের হয়ে প্রথম ফিফটি করার গৌরব অর্জন করেন
জাতিন্দর। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়। ওমান কোন উইকেট না হারিয়ে জয়
নিশ্চিত করে ১৩.৪ ওভারে।
অবশ্য তাদের দুজনের আগে আরও এক প্রথমে
নাম জড়ান পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালা। এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলে
নেন তিনি। টস হেরে ব্যাট করতে নামলেও আসাদ ভালো বলেছিলেন, শুরুতে ওমানকে
চাপে ফেলতে চায় তারা। উল্টো স্বাগতিক ওমানই দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে তাদের
বিপদে ফেলে দিয়েছিল। পাপুয়া নিউ গিনি মূলত এর পর ছুটেছে আসাদ ভালা ও
চার্লস আমিনির দ্রুত গতির ব্যাটিংয়ে। ৮১ রানের এই জুটি ভাঙে আমিনির রান
আউটে। ২৬ বলে ৩৭ রানে ফিরেছেন আমিনি। তাতে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়। আসাদ ভালা
অবশ্য টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলেই সাজঘরে ফিরেছেন। পিএনজি অধিনায়ক ৪০
বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ভালা ৪৩ বলে করেন ৫৬ রান। তাতে ছিল ৪টি চার ও ৩
ছয়। এর পর আর কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। সেসে বাউয়ের ১৩ রানই ছিল
সর্বোচ্চ। তারা ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১২৯ রান।
প্রতিপক্ষকে আটকে
রাখতে বড় ভূমিকা ছিল ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদের। ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে
সেরা বোলার ছিলেন। ম্যাচসেরাও তিনি। দুটি করে নিয়েছেন বিলাল খান ও
কলিমুল্লাহ।