
গোলের খেলা ফুটবলে
বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্ভাবনার জায়গাও ফিনিশিং নিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল
মিলেছে, কিন্তু সেটা পেনাল্টি থেকে; গোলদাতা আবার ডিফেন্ডার তপু বর্মন।
শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে তাই ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং নিয়ে
আরও বেশি কাজ করছে বাংলাদেশ।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আগামী সোমবার প্রতিযোগিতার রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২২
কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে একবার জালের নাগাল
পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম লেগে কলকাতার সল্ট লেকে ১-১ ড্র ম্যাচে
সাদউদ্দিনের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে গিয়েছিল দল। ফিরতি লেগে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০
ব্যবধানে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৮২ ধাপ এগিয়ে ভারত।
শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে গোলের সুযোগ যে কম মিলবে, তা
বুঝতে পারছেন ব্রুসন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে
পাঠানো শনিবারের ভিডিও বার্তায় দলের সহকারী কোচ রক্সি জানালেন, স্বল্প
সুযোগের সদ্ব্যবহারের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন “সাফ মিশনে শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণ
হয়েছে। ছেলেদের কাছে যে ধরনের খেলা আশা করেছিলাম, সে অনুযায়ী তারা সফল
হয়েছে, কোচের কথা মতো খেলতে পেরেছে। এখন আমাদের গোল বাড়ানো দরকার।”
তিনি
আরো বলেন, “গোলের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত ছিল, শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে ছেলেরা সেটা করতে পেরেছিল। কিন্তু গোল পেতে হলে ভাগ্যকেও পাশে পেতে
হবে। তাহলে আমরা গোল পাব। পরের ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আগেও বলেছি
আমরা ধাপে ধাপে চিন্তা করব। এখন দ্বিতীয় ধাপে ভারত ম্যাচ, তাদের বিপক্ষে
ম্যাচের জন্য দলকে যেভাবে অনুশীলন এবং অনুপ্রাণিত করা দরকার, সেভাবে কাজ
করা হচ্ছে।”
কিরগিজস্তানের খেলা ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফিলিস্তিন
ও কিরগিজস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই দুই ম্যাচে গোল পায়নি দলটি।
কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে দুটি
গোল করেছিলেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কয়েকবার আক্রমণে
উঠলেও উত্তর বারিধারার এই ফরোয়ার্ড পাননি গোল।
ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া,
মাহবুবুর রহমান সুফিলও পারেননি গোলের খাতায় নাম তুলতে। ভারতের বিপক্ষে গোল
পাওয়ার জন্য দরকারি সবকিছু করা হচ্ছে বলে জানালেন রক্সি। শক্তিশালী ভারতের
বিপক্ষে রণকৌশল ঠিক করা হয়েছে বলেও জানালেন এই সাবেক ফুটবলার।
তিনি
বলেন, “ব্রুসনের সঙ্গে সবাই মিলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একটা
পরিকল্পনা করা হয়েছে। কাল ভারত ম্যাচ নিয়ে আরও চিন্তা করব। পরের ম্যাচে যেন
পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যায়। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যারা ৬০ মিনিট খেলেছে,
তাদের রিকভারির জন্য এক রকম ট্রেনিং করানো হয়েছে। যারা খেলেনি, তাদের
অন্যরকম ট্রেনিং করানো হয়েছে। ছেলেদের ম্যাচ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং ফিনিশিং
নিয়ে কাজ করানো হয়েছে।”
“খেলোয়াড়রা মনেপ্রাণে চেষ্টা করেছে; কিন্তু গোল
আসে দক্ষতা এবং ভাগ্যের সম্মিলনে। ভারত ম্যাচের জন্য তাই যা যা করা দরকার,
যেভাবে করা দরকার, সেভাবে ছেলেদের প্রস্তুত করছি। আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল
খেলা, এজন্য ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করেই এগুচ্ছি।”