ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
৬৭ দিন পর করোনায় মৃত্যুহীন কুমিল্লা
স্বাস্থ্যবিধি মানায় হাল ছেড়ে দিলে হবে না: সিভিল সার্জন
Published : Monday, 30 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 30.08.2021 1:20:15 AM
৬৭ দিন পর করোনায় মৃত্যুহীন কুমিল্লাতানভীর দিপু:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দীর্ঘ ৬৭ দিন পর করোনা পজেটিভ মৃত্যুহীন দিন পেলো কুমিল্লা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মহামারী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়নি কেউ। সর্বশেষ এমন মৃত্যুহীন দিন ছিলো চলতি বছরের ২৩ জুন। মাঝের এ ৬৭ দিনে কুমিল্লায় করোনা কেড়ে নিয়েছে সাড়ে ৪ শ’ মানুষের প্রাণ। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১০ জনে। গত ৬৭ দিনে করোনার প্রাণঘাতি ঢেউয়ে সংক্রমণ হার একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দীর্ঘ লকডাউনে থাকার পরও দেশে জেলা শহরগুলোর মধ্যে করোনায় প্রাণহাণিতে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। এর বিপরীতে একই সময়ে জেলায় ২৭৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন কুমিল্লার কাগজকে বলেন, একদিন মৃত্যু শূণ্যের কোটায় নেমে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। মৃত্যুশূণ্য এ নিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক কোন মন্তব্য নেই। আমরা চাই কেউই মৃত্যুবরণ না করুক।
 কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৭৫ জন। গতকাল রবিবার বিকেলে এ তথ্য জানায় কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সর্বশেষ ওই ২৪ ঘণ্টায় ৮১৪ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কুমিল্লায় পরীক্ষার জন্য এক লক্ষ ৬০ হাজার ৫৫২জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে এক লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৫৮ জনের। এর মধ্যে ৩৮হাজার ১৫৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩০হাজার ৬৪০ জন। আর মারা গেছেন ৯১০জন। বিদেশগামী ১৫৮ জনের করোনা ভাইরাস পরিক্ষা করা হয়।করোনা ভাইরাসে কোন সনাক্ত নেই।
এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় নয়জন, সদর উপজেলায় দুইজন, সদর দক্ষিনে একজন, বুড়িচং আটজন, বি-পাড়া সাতজন, চান্দিনা তিনজন, চৌদ্দগ্রাম তিনজন, দেবিদ্বার একজন, দাউদকান্দি ১৪জন, লাকসাম ছয়জন, লালমাই একজন, নাঙ্গলকোট তিনজন, বরুড়া দুইজন, মনোহরগঞ্জ তিনজন , মুরাদনগর একজন, মেঘনায় একজন, তিতাস একজন ও হোমনা চারজন।