ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সমুন্নত রাখুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
Published : Wednesday, 23 June, 2021 at 12:00 AM
আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সমুন্নত রাখুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা জন্মদিন আজ। ‘আওয়াম’ শব্দের অর্থ জনগণ, আর লীগ অর্থ দল বা গোষ্ঠী। সেই অর্থে আওয়ামী লীগের অর্থ জনগণের দল বা গোষ্ঠী। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির আত্মপ্রকাশ, দুই যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে সেই দলটির নেতৃত্বেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এর চেয়ে বড় অর্জন কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। আত্মপ্রকাশকালে দলটির সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন সে সময়ের তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তখন দলটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীকালে নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে রূপান্তর করা হয়। তখন এটি ছিল একটি সাহসী সিদ্ধান্ত।
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আসতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। আদর্শবাদী, উদারনৈতিক এই রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্ব বিনাশের চেষ্টাও হয়েছে। দলের ভেতরের কোন্দলও অনেক সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেয়েছে। কিন্তু আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সব বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ভাগ হয়ে যায়। ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ দলের কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগে দ্বিতীয়বারের মতো বিভক্তি দেখা যায়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে দেশের শত্রুরা সপরিবারে হত্যা করলে আওয়ামী লীগ আবার অস্তিত্বের সংকটে পড়ে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের এক বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে প্রবাসে নির্বাসন জীবনযাপনকারী শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতভাবে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সেই বছর ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশের এক ক্রান্তিকালে দেশে ফেরেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পায়। খুব কম দেশেই একটি দল ২১ বছর মতার বাইরে থেকে মতায় ফিরতে সম হয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮—টানা তিনবার জনগণের ম্যান্ডেট পায় আওয়ামী লীগ।
জনগণের জন্য, জনগণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জনগণের এই দলটির প্রতি জনগণের আস্থা আছে। সেই জন-আস্থার প্রতিদান হিসেবে এই করোনাকালে জন-আকাঙ্া পূরণে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিক আওয়ামী লীগ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুন্নত রাখুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।