ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নারীপাচার চক্রের হোতা রাফিসহ দুজনের স্বীকারোক্তি
Published : Wednesday, 9 June, 2021 at 12:00 AM
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম হোতা আশরাফুল ম-ল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী মো. আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুন) রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আশরাফুল ও আব্দুর রহমান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামি আশরাফুল এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম আসামি আব্দুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর দুই আসামি সাহিদা বেগম ওরফে ম্যাডাম সাহিদা ও মো. ইসমাইল সরদারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২ জুন আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এ ঘটনায় গত ২৭ মে হাতিরঝিল থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় টিকটক হৃদয় বাবুসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর গত ৩১ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত র্যাব সদরদফতরের গোয়েন্দা ইউনিট ও র্যাব-৩-এর সদস্যদের অভিযানে ঝিনাইদহ সদর, যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল থেকে নারীপাচার চক্রের মূলহোতা মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফিসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।