ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের অভিযানে দু’ ধর্ষক আটক
Published : Wednesday, 26 May, 2021 at 8:04 PM
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের অভিযানে দু’ ধর্ষক আটকমানিক দাস//
হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যাক্ত নারী গত ২২ মে শনিবার দুপুরের দিকে হাজীগঞ্জ নদী বাড়ি ক্যাফে এলাকায় ঘুরতে আসে শাকিল নামের তার এক বন্ধুর সাথে। পরে সেখানে তারা রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান করে। বাড়ি ফিরে যাবার পথে আরো দুই যুবক তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। সাথে যোগ দেয় আরো একজন। তারা জোরপূর্বক নারীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে নির্জন একটি বাড়িতে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সকালে ফের ধর্ষণের শিকার হয় আবার সে ।বিষয়টি সি এন জি স্কুটার চালক স্হানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাতাকে জানালে তিনি প্রথমে টহল পুলিশ কে বলে ও নারীকে সহায়তার জন্য পুলিশের সহায়তা পাননি।তাৎক্ষনিক সাংবাদিক খন্দকার আরিফ ও জহিরুল ইসলাম জয়কে নিয়ে ঘটনাস্হলে ছুটে যান। পরে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক এস আই মাসুদ মুন্সীর নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম পাঠিয়ে দেন। নারীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ নারীর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে অ্যাডিশনাল এসপি হাজীগঞ্জ (সার্কেল) সোহেল মাহমুদ পিপিএমের নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ সার্বিক সহযোগিতায় দু ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মাঝি বাড়ীর মহিন উদ্দিন (২৬) ও একই বাড়ীর মোহাম্মদ শাকিল হোসেন (২৪)।আরো দু জন পলাতাক।তাদের কে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন। পলাতক দুই জন হলো হাজীগঞ্জ পৌরসভার রান্ধুনীমুড়া শুকু কমিশনারের বাড়ির বড় ভাই ইসমাইল হোসেন (৩২) ওতার ছোট ভাই কালু (২১)। তারা আপন  দুই ভাই মিলেই ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। পুলিশ ওই নারীকে মেডিকেল জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ঘটনার বিবরণে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে শনিবার বিকেলে হাজিগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা নদী বাড়ী বিনোদন পার্কে ওই নারী ঘুরতে আসে। ওই সময় শাকিল নামের স্থানীয় বাসিন্দার সাথে পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে সন্ধ্যার পর তারা এই নারীকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বৈষ্টব বাড়ীর বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ইসমাইল ও মহিন উদ্দিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শাকিলও তাদের কাছে ছিল এবং ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করে। পরে ওই নারীকে একই রাতে শাকিলের খালার বাড়ি নোয়াদ্দা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে নিয়ে ইসমাইলের ভাই কালু ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এভাবে রাতভর ওই নারীকে নিয়ে এলাকার যুবকেরা গণধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। হাজিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনকে ধর্ষণ এবং একজনকে ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করায় মামলা করা হয়েছে।