তিনি দলের চতুর্থ পছন্দের স্পিনার। মূল তিন স্পিনারের ফিটনেস সমস্যা না থাকলে হয়তো এই টেস্টে খেলাই হতো না প্রাভিন জয়াবিক্রমার। এই তরুণই শ্রীলঙ্কার জয়ে রাখলেন সবচেয়ে বড় অবদান, নাম লেখালেন ইতিহাসে। গড়লেন বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ২০৯ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শ্রীলঙ্কা। অভিষেক রাঙিয়ে রেকর্ডের অনেক পাতায় নাম লিখিয়েছেন জয়াবিক্রমা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নেন তিনি। এই প্রথম শ্রীলঙ্কার কোনো বোলার অভিষেক টেস্টে পেলেন ১০ উইকেট।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিষেকে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল চার জনের। তার মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার নেই একজনও।
অভিষেকে বাঁহাতি স্পিনে এতদিন সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল অ্যালফ ভ্যালেন্টাইনের। ১৯৫০ সালে এই ক্যারিবিয়ান ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ২০৪ রানে। ৭১ বছর ধরে অক্ষত থাকা সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন জয়াবিক্রমা।
পাল্লেকেলেতে ২২ বছর বয়সী এই স্পিনার প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে নেন ৬ উইকেট। গড়েন অভিষেকে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আগের সেরা ছিল ১৯৯৯ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে উপুল চন্দনার ১৭৯ রানে ৬ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে জয়াবিক্রমা নেন ৫ উইকেট। চতুর্থ দিন নিয়েছিলেন দুটি। সোমবার পঞ্চম দিনের শুরুতেই আঘাত হানেন তিনি। এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন লিটন দাসকে, নেন ম্যাচে নবম উইকেট।
এই উইকেটে টেস্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ে রেকর্ড গড়েন জয়াবিক্রমা। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই, ২০১৮ সালে ঢাকা টেস্টে আকিলা দনাঞ্জয়ার ৪৪ রানে ৮ উইকেট।
২২ বছর ২১১ দিন বয়সে ১০ উইকেটের স্বাদ পেলেন জয়াবিক্রমা। শ্রীলঙ্কার হয়ে কেবল চামিন্দা ভাসই তার চেয়ে কম বয়সে পেয়েছেন ১০ উইকেট। ১৯৯৫ সালে নেপিয়ারে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯০ রানে ১০ উইকেট নেওয়ার সময় বাঁহাতি এই পেসারের বয়স ছিল ২১ বছর ৪৩ দিন।