ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নাঙ্গলকোটে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু: পরিবারের দাবী হত্যা
Published : Tuesday, 27 April, 2021 at 5:46 PM
নাঙ্গলকোটে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু: পরিবারের দাবী হত্যাবারী উদ্দিন আহমেদ বাবর॥
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আছমা আক্তার জেরিন (১৮) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। তবে মরহুমার পরিবারের দাবী তার শশুর বাড়ীর লোকজন তাকে হত্যা করে আত্মহত্যঅ বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া হানিফ চেয়ারম্যানের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।  জেরিন একই গ্রামের নুর আফজাল মোল্লার মেয়ে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।  
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের আছমা আক্তার জেরিনের সাথে একই গ্রামের সিরাজ মজুমদারের ছেলে নাজমুল হাছান মজুমদারের সাথে প্রায় চার মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাস পর নাজমুল হাছান স্ত্রীকে পরিবারের কাছে রেখে প্রবাসে চলে যায়। এরপর থেে জেরিন শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করছে। সোমবার রাতে সে তার ভাশুর ও ননদ এবং জা'র সাথে ধান মাড়াইয়ের কাজ করার সময় জেরিনের ভাই আতিক প্রবাস থেকে ফোন দিলে কাজ রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ঘরে চলে যায়। এনিয়ে তাকে ভাশুর ননদের কটুক্তি শুনতে হয়। পরে ভোর রাতে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানান পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মা হাছিনা বেগম তাকে হত্যা করা হয়েছে দাবী করে বলেন, জেরিনের বিয়ের পর থেকে তার স্বামী পরিত্যাক্তা ননদ মায়া বেগম ও ভাসুর কামরুল হাছান বিয়েটি প্রেমঘটিত হওয়ায় মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের তিন মাস পর নাজমুল সৌদি আরবে চলে যাওয়ার পর থেকে তার ননদ ও ভাসুর বিভিন্ন সময় তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। জেরিনকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্নহত্যা বলে অপপ্রচার চালায়। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।