
করোনা
আতঙ্কে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ছেড়ে দেশে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার
অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাজাম জাম্পা ও কেন রিচার্ডসন। ভারতের ক্রিকেটার
রবিচন্দ্রন অশ্বিনও টুর্নামেন্ট ছেড়ে দিয়েছেন। এর আগে বিদায় বলে দিয়েছেন
ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন। শোনা যাচ্ছে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল
হাসিও টুর্নামেন্ট গুডবাই বলেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানাননি
তিনি।
ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। সোমবার দেশটির
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে
মারা গেছেন ২ হাজার ৮১২ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ
মৃত্যু। পুরো ভারতে অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। নিত্যদিন অক্সিজেনের অভাবে
মানুষ মরছে। সেখানে আইপিএল হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা
হচ্ছে।
এরই মধ্যে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও শোয়েব
আক্তার আইপিএল বন্ধের দাবি তুলেছেন। আবার রাজস্থান রয়্যালসের দণি আফ্রিকার
অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস মনে করেন এই কঠিন সময়ে আইপিএল-ই এক মাত্র মুক্তির
পথ। সব কিছুকে ছাপিয়ে আইপিএলের ভবিষ্যৎ কোন দিকে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বিসিসিআই
ও আইপিএল দলগুলোরগুলোর তরফ থেকে বারবার ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করা হলেও
আতঙ্ক কাটছে না তাঁদের। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স আহমেদাবাদে পৌঁছেছে।
সাকিবদের প্রত্যেকের পরণে ছিল পিপিই, ফেসশিল্ড, গ্লাভস এবং মাথার টুপি।
ভারতে
করোনা পরিস্থিতির মাঝেও আইপিএলের উন্মাদনায় ঘাটতি পড়েনি। তবে এবার
গ্যালারিতে সমর্থকদের মাতামাতি নেই। তবে বিজ্ঞাপনের হিসেব বলছে, টিভিতে
আইপিএল দেখার দর্শক সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। কিন্তু সারা দেশ যখন করোনার
বিরুদ্ধে লড়ছে তখন আইপিএল আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ নয় কি!
করোনার সংক্রমণ
বাড়ায় ব্যক্তিগত কিংবা ভাড়া করা বিমানে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন ভারতীয় ধনীরা।
রোববার নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যটি জানিয়েছে, অধিকাংশ ধনী ভারতীয়ের গন্তব্য হচ্ছে সংযুক্ত আরব
আমিরাত। স্বল্প দূরত্ব এবং অনেক বেশি ফাইট পরিচালিত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই
দেশটিকে বেছে নিয়েছেন তারা।