২০ রোজার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি পরিবহন শ্রমিকদের
Published : Monday, 26 April, 2021 at 12:00 AM
২০ রোজার মধ্যে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ সব হালকা যানবাহনের চালক-শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, আটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। একই সঙ্গে করোনায় কর্মহীন চালকদের খাদ্য ও নগদ সহায়তা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। রবিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। ২০ রোজার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে ১ মে পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও র্যালির কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বীরেশ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে খাদ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণের অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে অল্প বেতনের গাড়িচালকদের দৈনন্দিন জীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ। সেই দুঃসময়ে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা কোনও রকম মানবিক বিবেচনা না করে বেতন কর্তন করছেন, লকডাউনের সময়টিকে বিনা বেতনে ছুটি হিসেবে গণ্য করছেন। কোনও ধরনের ক্ষতিপূরণ বা নোটিশ প্রদান ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই করছেন। শ্রম আইনের কার্যকর প্রয়োগ না থাকায় গাড়িচালকরা সব সময় চাকরির নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। করোনা দুর্যোগের অজুহাত গাড়িচালকের বেতন কর্তন বা চাকরিচ্যুতিতে মালিকদের সুযোগকে আরও প্রসারিত করেছে।’
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলেও পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। দৈনিক উপার্জনের উপর নির্ভরশীল পরিবহন শ্রমিকদের কোনও সঞ্চয় না থাকায় লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে তাদের চরম কষ্টে অর্ধাহার-অনাহারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনাহারের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কিছু চালক অটোরিকশা চালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের মামলা, যাত্রী সংকট আর অটোরিকশা মালিকের অতিরিক্ত জমা আদায়ের কারণে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’