
ইরানের নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল।
৪৩ বছর বয়সী রেজা করিমি নামে এক ইরানির ছবিসহ তাকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে। তার জন্ম তেহরানের পার্শ্ববর্তী কাশান শহরে। খবর দ্য টাইমন অব ইসরাইলের।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে শনিবার বলা হয়, রেজা করিমি গত সপ্তাহে নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করছে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা।
এতে আরও বলা হয়, নাতাঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনার আগমুহূর্তে রেজা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি ইন্টারপোলের অপরাধীদের তালিকাভুক্ত বলে ইরান দাবি করলেও ইন্টারপোল এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে মধ্যাঞ্চলের ইসপাহান প্রদেশের মরুভূমি এলাকায় অবস্থিত। কেন্দ্রটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত।
১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকালে কেন্দ্রটিতে ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগ’ দেখা দেয় বলে খবর বের হয়। তবে প্রাথমিকভাবে এর কারণ নির্ণয় করা যায়নি। ওই সময় ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র জানান, কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক গ্রিডে সমস্যা হয়েছে।
এ সমস্যা থেকে একটা অঘটন ঘটেছে। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো দূষণও ছড়ায়নি। পরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিবিষয়ক প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেছিলেন, এটি পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ।
এ হামলা এমন সময় করা হয়, যার কিছু দিন পরই ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল ইরানের।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে এ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ইরানের। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা। তবে ইসরায়েল শুরু থেকেই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
ইরান এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে। তবে এমন অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। দেশটি অভিযোগ স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি।
তবে ইসরায়েলের সরকারি রেডিও সার্ভিসে দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এ হামলা চালিয়েছে।