নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মুরগির খামারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেছেন জেলার বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী আবদুল কাইয়ুম।
বুধবার নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী শংকর দে মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ১০৪ জনসহ আরো ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা মামলা গ্রহণ না করায় বাদী আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।
মামলায় প্রধান আসামিরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, আসামি করা হয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতসহ ১০৪ জনকে। এছাড়াও মামলায় ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আদালতে মামলাটি করেছেন মির্জা কাদেরের অনুসারী চরহাজারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আবদুল কাইয়ুম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এ আসামিরা গত সোমবার রাতে ২টা ৫০ মিনিটে মুরগির খামারে আগুন দিয়ে খামার থেকে ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করে লোকজন ঘটনাস্থলে গেলেও আসামিদের বাধার মুখে আগুন নেভাতে পারেনি।
অগ্নিকাণ্ডের সময় আসামিদের দেখেছেন বাদী আবদুল কাইয়ুম নিজে ও সাক্ষীরা। এ অগ্নিকাণ্ডে ও লুটপাটে তার ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নোয়াখালী পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।