
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে দেশে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। সেদিন ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ হাজার ৬৭৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৮৬৯ জনের মৃত্যু হল।
আর ৩ হাজার ৬৭৪ জন নতুন রোগী নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জনে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৭১ জন রোগী
সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫
লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫
লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী
শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের
৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ
মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১২ কোটি ৬১ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৪ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪০তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৪টি ল্যাবে ২৪ হাজার
৬৬৪টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪টি
নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ,
এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার
হার ৯০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮১৮টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ আর নারী ১৫ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের
মধ্যে ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরে মধ্যে,
১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে
ছিল।
মৃতদের মধ্যে ২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন
করে মোট ৪ জন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, এবং ১ জন করে মোট ২ জন সিলেট ও
রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৮৬৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৬৯৫ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১৭৪ জন নারী।
তাদের
মধ্যে ৪ হাজার ৯৫৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ২০৬ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৯৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪৩৪
জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৭
জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
মৃতদের
মধ্যে ৫ হাজার ২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬২০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৯২
জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৭৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৬৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১৭ জন
সিলেট বিভাগের, ৩৭২ জন রংপুর বিভাগের এবং ২০০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।