রেফারি বিতর্কের জেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাফুফের রেফারিজ কমিটি। নতুন কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দেশের ফুটবলে ভিএআর প্রচলনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বাফুফে।
চলতি মৌসুমে ফুটবল শুরু হয়েছে রেফারি বিতর্ক মাথায় নিয়ে। রেফারিদের ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে, কিন্তু কাবগুলো সরাসরি সন্দেহের আঙুল তুলেছে রেফারিদের দিকে। এ রকম প্রোপটে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন রেফারিজ কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘রেফারিদের নিয়ে নানা কথা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, বিতর্ক হচ্ছে। রেফারিং পপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ এসেছে বেশ কিছু। তাই পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে একটি নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে।’ আগের রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাফুফে সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী। তাঁর জায়গায় এখন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীকে প্রধান করা হচ্ছে। ‘সালাম লিগ কমিটির প্রধান। আর লিগের সঙ্গে যেহেতু রেফারিং যুক্ত তাই সালামকেই রেফারিজ কমিটিরও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফুটবলের ভালোর জন্য দ কমিটি গঠন করে দিয়েছি, যেন খেলাটা আরো ভালোভাবে চলতে পারে’, বলেছেন বাফুফে সভাপতি। পেশাদার যুগের ফুটবলে সালাম মুর্শেদী লিগ কমিটির প্রধান থাকলেও রেফারিজ কমিটি আলাদা নেতৃত্বে আলাদাভাবে কাজ করেছে। এই প্রথম দুই কমিটির প্রধান একই ব্যক্তি।
এদিকে রেফারিদের ভুল কমাতে সালাউদ্দিন ভিএআর প্রযুক্তি আনার বিকল্প দেখছেন না, ‘ভিএআর আনার জন্য ফিফার সঙ্গে কথা হয়েছে। টাকা-পয়সা কত লাগবে জানি না। কয়েক দিনের মধ্যে ফিফা এই প্রযুক্তি প্রচলনের ব্যাপারে সব কিছু লিখিতভাবে জানাবে আমাদের।’ এই ব্যয়বহুল প্রযুক্তি এশিয়ার মাত্র পাঁচ-ছয়টি দেশের ফুটবলে আছে। খোদ এএফসি-ই গত বছর এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এর প্রচলন করেছে। শুধু খরচের ব্যাপার নয়, সঙ্গে লাগবে টেকনিক্যাল টিমও, যা বাংলাদেশে নেই। তবে যত বাধাই থাকুক না কেন সভাপতি দেশের ঘরোয়া ফুটবলে ভিএআর প্রযুক্তি চালু করতে বদ্ধপরিকর, ‘ভিএআর থাকলে অভিযোগ কমে যাবে, ৯৫ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আশা করি, এই উপমহাদেশে আমরাই প্রথম ভিএআর প্রচলন করব।’