গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় এক যুবককে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে সদর থানায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম ও মিডিয়া শাখার ডিসি জাকির হাসান এক প্রেস বিফ্রিং এ এ জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চারজন এ ঘটনায় করা মামলার আসামি।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মামলার প্রধান আসামি পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে কাওসার আহমেদ আকাশ (২৩), শহরের মধ্য ছায়াবিথী এলাকার আমজাদ হোসেন মুকুলের ছেলে মেহেদী হাসান বিজয় (১৮), মারিয়ালী-কলাবাগান এলাকার নুরুজ্জামানে ছেলে শামীম (১৮), জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কলাপাটুয়া এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে ইমন আহমেদ (২০), সদর উপজেলার কুমুন এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসনে ওরফে মোবা (১৯) ও মধ্য ছায়াবিথী এলাকার বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নিলয় চন্দ্র বিশ্বাস (১৮)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ছায়াবিথি এলাকায় এক হামলায় নিহত সাদেক আলী (৩২)নিহত হন।
পরদিন নিহত ছাদেকের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। সেদিনই নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জাকির হাসান বলেন, নিহত ছাদেক আলী ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে সাদেক আলীর বাসা সংলগ্ন এক দোকানের সামনে এক তুচ্ছ বিষয়ে নিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে সাদেক আলীর তর্ক বাধে। স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দিলে সাদেক বাসায় চলে যান।
পরে আসামিরা সাদেককে বাসা থেকে ফের ডেকে রাস্তায় নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে সাদেককে মারধর এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে গলায় আঘাত করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বিজয় মধ্য ছায়াবিথী এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তার নেতৃত্বে অপর আসামিরা সমবয়সী কয়েকজনের একটি বখাটে গ্রুপ পরিচালনা করেন।
“ওই গ্রুপগুলোর সদস্যদের অংশগ্রহণে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে বলেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিং এ সহকারী পুলিশ কমিশনার থুয়াই ফ্রু মারমা, সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।