
বাদল খন্দকার
সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ||
বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে এবার দুটি বড় দল কুমিল্লা স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু
হিসেবে বেছে নেয়ায় কুমিল্লার ফুটবল আরো এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা
ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার। তাঁর মতে, দেশি-বিদেশি
ফুটবলারদের নৈপূণ্য কাছ থেকে দেখতে পেয়ে কুমিল্লার তরুণরাও অনেক কিছু শিখতে
পারছে।
কুমিল্লার কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
*বিপিএল ফুটবল কুমিল্লায় কেমন হচ্ছে?
বাদল:
বিপিএল ফুটবলের যে খেলাগুলো এপর্যন্ত কুমিল্লায় হয়েছে প্রতিটা খেলাই
প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ হয়েছে, টানটান উত্তেজনা ছিলো। প্রতিটি দলেই জাতীয় দলের
খেলোয়াড়, দেশি বিদেশি কাবের নামজাদা খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছে। তাদের যে কলা
কৌশল সেগুলো দেখে কুমিল্লার ফুটবলের আগামী প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হচ্ছে ফুটবল
নিয়ে। এটাই কুমিল্লায় বিপিএল ফুটবলের সবচেয়ে বড় পজেটিভিটি। আর দর্শকরাতো
খেলা দেখে মনভরা আনন্দ নিয়ে ফিরছে।
* কুমিল্লা স্টেডিয়ামে এতো দর্শক সমাগমে আপনাদের ভূমিকা কি?
বাদল:
দর্শক কুমিল্লার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিলো। দর্শক হলো খেলার প্রাণ, দর্শক
আনার জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা অনেক করেছি। আর ভালো খেলা হলে প্রচুর দর্শক
হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা কুমিল্লার মানুষকে বিপিএল এর মাধ্যমে ভালো ফুটবল
ম্যাচ উপহার দিতে পেরেছি।
* মাঠের প্রশংসা করছে সবাই, এটা কিভাবে সম্ভব হলো?
ভালো
মাঠ জেলা ক্রীড়া সংস্থা সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। ঢাকা থেকে যারাই মাঠ নিয়ে
কাজ করতে এসেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে এবং
ভালো মাঠের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। বাফুফে সভাপতি মাঠ দেখে বলছেন- খুব ভালো
মাঠ কুমিল্লায়।
সবধরনের এজন্য সহযোগিতা করেছেন মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
* কুমিল্লার নতুন ফুটবলাররা এই লীগ থেকে কি পাবে?
বাদল:
কুমিল্লায় যে দলই খেলতে আসছে তারা দারুণ ফুটবলার সমৃদ্ধ কাব। বিদেশী কোচ
এবং ফুটবলাররা আমাদের মাঠে আসছে তাদের দেখে অনুর্ধ্ব ১৮ থেকে শুরু করে আরো
তরুন ফুটবলাররা কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। তাদের কলাকৌশল
দেখে-প্ল্যানিং দেখে তারাও শিখছে। তাদেরকে সেভাবে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।