
নাজমুল আহসান রোমেনসাধারণ সম্পাদক,
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা
সব
ধরনের খেলাধুলায়ই কুমিল্লায় এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কুমিল্লা
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। তিনি
বলেছেন, ‘বিপিএল ফুটবল দেখে কুমিল্লার আগামী প্রজন্ম খেলাধুলার প্রতি
উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এবার দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই দল মোহামেডান স্পোর্টিং কাব এবং
বসুন্ধরা কিংস কুমিল্লা স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়ায় বড় এ
দুটি দলের হোমগ্রাউন্ড তৈরি এবং পুরো আয়োজনে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনাই বড়
চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের প্রধান প্রতিবেদক তানভীর দিপু
* কুমিল্লায় বিপিএল নিয়ে কি চ্যালেঞ্জ ছিলো?
রোমেন:
বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম বড় আসর বিপিএল এই মৌসুমে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন
বসুন্ধরা কিংস এবং প্রাচীন ফুটবল কাব মোহামেডান কুমিল্লার শহীদ
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে। এই আসরে বড় দুই দলের
হোমগ্রাউন্ড তৈরি এবং পুরো আয়োজনে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনাই আমাদের জন্য
চ্যালেঞ্জ। আমরা আয়োজন এবং খেলা সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত করতে পারছি-আমরা সফল।
এজন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহার এবং জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ আবুল
ফজল মীরকে ধন্যবাদ। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সকল
সদস্যরা সক্রিয় ভাবে এই আয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে-আর আমরা সহজে সফল হচ্ছি।
* এ আয়োজন ঘিরে নতুন উদ্যোগ কি ছিলো?
রোমেন:
আমরা নতুন হিসেবেই নজর দিয়েছি মাঠের দিকে। মাঠটিকে যেন আরো সুন্দর করা যায়
তা নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। আমাদের মাঠ এমনিতেই ভালো, কিন্তু এত বড় মাপের
খেলা হবে তাই আলাদা পরিচর্যা করা হয়েছে। ড্রেসিংরুমের উন্নয়ন করা হয়েছে,
ডাগ আউট নতুন ভাবে করা হয়েছে। মাঠ নিয়ে সারাদেশেই আমরা প্রশংসা পেয়েছি, তাই
আমরা খুব আনন্দিত।
* করোনাকালীন নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা কি নেয়া হয়েছে?
রোমেন:
কুমিল্লায় খেলার পাশ বা টিকেট সবকিছুতেই লেখা আছে- নো মাস্ক নো এন্ট্রি।
এটি ভিআইপি গ্যালারি থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদের জন্য কঠোরভাবে পালন
করতে বলা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে -খেলা দেখতে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই
মাঠে আসতে হবে। ভিআইপি লাউঞ্জে কিন্তু সবাই মাস্ক ব্যবহার করছে। সাধারণ
গ্যালারিতে দর্শকরা খেলার উত্তেজনায় অনেক সময় মাস্ক রাখেনা। তবে সবার কাছেই
মাস্ক নিশ্চিত করছি। আর যেসব দলই খেলতে আসছে সব দলেই জাতীয় দলের ফুটবলার ও
বিদেশি ফুটবলার রয়েছে। তাদের আবাসনে যেমন আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছি
তেমনি খেলার সময়ও কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তার
বিষয়টি সক্রিয়ভাবেই দেখছে।
*সারাদেশের তুলনায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ দর্শক- কুমিল্লায় খেলাধুলার ভবিষ্যত কি?
রোমেন:
এবারের বিপিএল ফুটবল কুমিল্লায় হচ্ছে। এমন বড় আয়োজন দেখে কুমিল্লার নতুন
প্রজন্ম খেলার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেÑ এটাই আমাদের সফলতা। কুমিল্লার খেলাধুলায়
নতুন বিপ্লব সূচিত হয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
শক্ত নেতৃত্বেই এই বিপ্লব সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ঢাকা থেকে
কুমিল্লাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি যে কুমিল্লাকে
আমরা আবার খেলাধুলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবো। আমরা জানিনা কতটুকু সফল,
কাউন্সিলর কাপ ক্রিকেটে আমরা প্রচুর দর্শক পেয়েছি, ফুটবলে বিপিএল পেয়েও
প্রচুর দর্শক পাচ্ছি। আমরা সবার সহযোগিতা পাচ্ছি-এটাই বড় কথা। আমরা আশা করি
সব ধরনের খেলাধুলায়ই আমরা এগিয়ে যাবো।