ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, দাফনের ১১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন
Published : Sunday, 1 August, 2021 at 5:02 PM
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, দাফনের ১১ দিন পর মরদেহ উত্তোলনঅবশেষে লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত জলিল হত্যার জট খুলেছে। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী ও প্রেমিকা মৃত আব্দুর জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম। 

জলিল হত্যার ঘটনাটির আসল রহস্য উৎঘাটনের জন্য ও পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ রবিবার শহরে সাপটানা কবরস্থানে দাফন হওয়ার ১১ দিন পর পরকীয়ার বলি জলিলের মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। এর আগে,
ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে রব্বানী ও মমিনা বেগমকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।

গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশীদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে দ্রুত জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। 
এরপর গত ২৪ জুলাই বিকেলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে কথাকাটা কাটি হয়। জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদ পরদিন গত ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কের) মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থালে যান এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। রাতে সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দুইজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তারা জানায়। 

পরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কের) মারুফা জামান ঘাতক মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে এসে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। এ হত্যাকাণ্ডে দুইজন জড়িত থাকায় মমিনা আর রব্বানীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ রবিবার শহরের সাপটানা কবরস্থানে দাফন হওয়ার ১১ দিন পর পরকীয়ার বলি জলিলের মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতেই স্ত্রী মমিনা ও পরকীয়া প্রেমিক রব্বানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। লাশ উত্তোলন বিষয়ে তিনি বলেন, এটি তদন্তেরই একটি আইনি প্রক্রিয়া।