টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের অনবদ্যতায় অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের একজন সাপোর্ট স্টাফ করোনা পজিটিভ হওয়ায় ম্যাচটি টসের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর খেলাটি শুরু হয়েছিল।
বার্বাডোজে শনিবার রাতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে  আকিল হোসেন ৬ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট নিয়ে ধস নামিয়ে দেন অজিদের ব্যাটিংয়ে। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন কাঁপছিল দল তখন ত্রাতা হয়ে আসেন ম্যাথু ওয়েড-অ্যাডাম জম্পা ও জস হ্যাজলউডের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া ওয়েস অ্যাগার। শেষ পর্যন্ত ১৮৭ রানে থামে দলটি।
স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ওয়েড-স্টার্কের ৫১ রানের জুটি মান বাঁচিয়েছিল অজিদের। এরপর নবম উইকেটে জম্পা-অ্যাগারের ৫৯ রানের জুটি কোনোমতে ২০০ এর কাছাকাছি স্কোর গড়তে সহায়তা করে সফরকারীদের। ওয়েড-জম্পা দুজনেই করেন সমান ৩৬ আর অ্যাগারের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪১ রান।
অজি মিডল অর্ডারে ধস নামানো আকিল হোসেন ৬ বলের ব্যবধানে নেন ৩ উইকেট। তিনি নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩০ রান দেন। এ ছাড়া আলজারি জোসেপ ৩ ও শেলডন কটরেল নেন ২ উইকেট।
ঘরের মাঠে উইন্ডিজের জন্য ১৯২ রান মামুলি। কিন্তু ল্য তাড়া করতে নেমে ৭২ রান না যেতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। দেখা দেয় হারের সম্ভাবনা। কিন্তু পুরান-হোল্ডারের ৯১ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত জয়ের গল্প লেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজই। পুরান ৭৫ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আর হোল্ডার আউট হন ৬৯ বলে ৫২ রান করে। ওপেনার শাই হোপের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। ড্যারেন ব্র্যাভো ০ ও অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড ফেরেন মাত্র ২ রানে।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২ উইকেট জমা হয় জম্পার ঝুলিতে। ম্যাচ জয়ী ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন নিকোলাস পুরান। তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতা হওয়ায় ২৭ জুলাই শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে।