বৃষ্টি নেই কুমিল্লায় মেঘলা আকাশে স্বস্তি
Published : Wednesday, 5 May, 2021 at 12:00 AM
মাসুদ
আলম।। খরা, তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমের মাঝে আকাশ মেঘলা হয়ে বৃষ্টিপাতের
সম্ভবনা দেখা দিলেও আবহাওয়ার বৈরী আচরণের কারণে কুমিল্লায় স্বাভাবিকের
তুলনায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। কুমিল্লা জেলাজুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির
আভাস নিয়ে আকাশ কখনও মেঘলা আবার কখনও বাতাসের সাথে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও
স্বাভাবিক পরিমাণের কোন বৃষ্টি নেই। তবে মেঘলা আকাশে প্রকৃতিতে কিছুটা
তাপমাত্রা কমেছে। ফলে তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম থেকে মানুষে স্বস্তি মিলেছে।
কুমিল্লা
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, কুমিল্লায় আবহাওয়ার বৈরী
আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। শীতের মৌসুম শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও
এপ্রিল মাসে গত বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। পরিসংখ্যানে দেখা
যায়, গত বছরের এপ্রিলজুড়ে কুমিল্লায় ২১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও সেই তুলনায়
এবারের এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৩ মিলিমিটার। চলতি মে মাসেও আবহাওয়ার
এই বৈরী আচরণ থাকবে। যার কারণে এই মাসেও স্বাভাবিক পরিমাণের বৃষ্টিপাত না
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ঘিরে
মঙ্গলবার কুমিল্লাজুড়ে আকাশ মেঘলা ছিলো। শহরে বৃষ্টিপাত না হলেও জেলার
বিভিন্ন উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে মঙ্গলবার কুমিল্লায়
তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সাথে আগামী ২/৩
(বুধবার-বৃহস্পতিবার) দিনও দমকা হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া তাপমাত্রা ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকবে।
এদিকে বৈশাখের
অনেকটা সময় চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গত ২৫
এপ্রিল ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপে পুড়ল কুমিল্লা ৩৯.৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। খরতাপ চলছে কুমিল্লায় গত কয়েকদিন ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রায় উঠানামা করেছে। ঝড় বৃষ্টির ভর মওসুমেও কুমিল্লায় চলছে খরা ভাব।
বৃষ্টি নেই। খরা ও তাপাদাহের মাত্রাও বেড়ছে,কমছে। প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে
হাঁসফাঁস করছে মানুষ পশুপাখি। জনজীবন বিপযস্ত। ফসলে পানির জন্য কৃষকদের
হাহাকার। প্রকৃতির আচরণও হয়ে উঠেছে বৈরী। সকালের সূর্য উঠছে যেন আগুনের
হল্কা নিয়ে। বেলা বাড়ার সাথে পরিবেশ হয়ে উঠছে অসহনীয়। তাপমাত্রা চল্লিশ
ডিগ্রী ছুই ছুই।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি পর্যবেণ করে
বলছেন স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি পাতের হার ও পরিমাণ কমছে। আবহাওয়া হয়ে
উঠেছে রু। এতে করে কৃষি চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।