মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪
৬ কার্তিক ১৪৩১
কিয়ামতের দিন যেসব নেতা লজ্জিত হবেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ১:০৩ এএম |


আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়ো না। কেননা চাওয়ার পর যদি তোমাকে দেওয়া হয়, তবে তার দায়-দায়িত্ব তোমার ওপরই বর্তাবে।
আর যদি চাওয়া ছাড়া তোমাকে দেওয়া হয়, তবে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোনো বিষয়ে কসম করার পর যদি তার বিপরীত দিকটি বেশি কল্যাণকর মনে হয়, তাহলে কাজটি করে ফেলো আর তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিয়ো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬২২)
আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এক. নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করা। নেতৃত্ব চেয়ে না নেওয়া। কেননা তাতে মানুষের ব্যর্থ ও নিন্দিত হওয়ার ভয় আছে, দুই. জিদের বশবর্তী হয়ে কোনো কল্যাণকর বিষয় ত্যাগ করা উচিত নয়। এমনকি কোনো কল্যাণকর কাজ না করার কসম করলেও তা পরিহার না করে কাফফারা আদায় করা উত্তম।
নেতৃত্ব চাওয়া বারণ কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন এবং এর কারণ হিসেবে বলেছেন-তখন পুরো দায়িত্ব ও ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে না। বিপরীতে মানুষের আগ্রহে নেতৃত্ব গ্রহণ করলে তারা সহযোগিতা করবে। ইমাম বুখারি (রহ.) উল্লিখিত হাদিসের শিরোনাম নির্ধারণ করেছেন ‘যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন’-যা থেকে প্রমাণিত হয়, এখানে ‘সাহায্য করা হবে’ বাক্যে আল্লাহর সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত।
কোনো ব্যক্তি নির্মোহভাবে মানুষের কল্যাণ ও ইসলামের সেবা করার জন্য নেতৃত্ব গ্রহণে সম্মত হলে সে আল্লাহর সাহায্য লাভ করবে। এ ছাড়া নেতৃত্বের লোভ এক প্রকার জাগতিক মোহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ সব পাপের মূল।’ (ফয়জুল কাদির, হাদিস : ৩৬৬২)
নেতৃত্ব পরকালে লজ্জার কারণ হবে
নেতৃত্বের প্রত্যাশার ব্যাপারে একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.) সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ করো, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৮)
প্রত্যাশীদের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না
কোনো ব্যক্তি নেতৃত্বপ্রত্যাশী হলে তাকে নেতৃত্ব না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার গোত্রের দুই ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে আমির নিযুক্ত করুন। অন্যজনও অনুরূপ কথা বলল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদের এ পদে নিয়োগ করি না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)
বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী বলল, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
জাতির দুর্দিনে নেতৃত্ব গ্রহণ নিন্দনীয় নয়
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া নিন্দনীয়। তবে জাতির দুর্দিনে নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে আসা নিন্দনীয় নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রশংসনীয়ও বটে। বিশেষত যখন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কোনো ব্যক্তি পাওয়া না যায়। মিসরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি রক্ষা করতে ইউসুফ (আ.) মিসর শাসককে বলেছিলেন, ‘আমাকে দেশের ধনভা-ারের কর্তৃত্ব প্রদান করুন। নিশ্চয়ই আমি উত্তম রক্ষক, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৫৫)













সর্বশেষ সংবাদ
মা ইলিশ রক্ষায় মাঠে নামলেন মৎস্য উপদেষ্টা
ভেরেইনের শতকে বড় লিড দক্ষিণ আফ্রিকার
তিন লিগের জন্য কোটি টাকার স্পন্সর পেল বিসিবি
বুড়িচংয়ের আলোচিত আদনান হায়দারসহ গ্রেপ্তার ২
দেবিদ্বারেসেনাবাহিনীর অভিযানে আটক ৭
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ
সুমি জুয়েলার্সের ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
বুড়িচংয়ের আলোচিত আদনান হায়দারসহ গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন
রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্রসমাজই নির্ধারক, জাপা বিবেকহীন: সারজিস
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২