ফাইনাল
আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ভুটান ম্যাচ ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। বাংলাদেশ
খেলতেও নামল সেরা একাদশে সাত পরিবর্তন এনে। বেঞ্চের খেলোয়াড়রা উপহার দিলেন
আক্রমণাত্মক ফুটবল। ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স
চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক পর্ব শেষ করল সাইফুল বারী টিটুর দল।
কমলাপুরের
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিজেদের শেষ
ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড
রবিন লিগে সেরা স্বাগতিকরাই।
আগামী বৃহস্পতিবার শিরোপা লড়াইয়ে
বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। দিনের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে
ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে তারা।
বেঞ্চের শক্তি পরখ করতে আগের ম্যাচে
একাদশ থেকে কেবল উমহেলা মারমা ও স্বপ্না রানী ম-লকে রাখেন বাংলাদেশ কোচ।
তবে কানন-রিতুরা শুরু থেকেই ভুটানের রক্ষণে ছড়াতে থাকে ভীতি।
অষ্টাদশ
মিনিটে মিলে যায় গোলের দেখা। বক্সের জটলার ভেতর থেকে বল এসে পড়ে নুসরাত
জাহান মিতুর পায়ে। ফাঁকায় থাকা এই ফরোয়ার্ড ডান পায়ের শটে পরাস্ত করেন
গোলরক্ষককে।
চাপ ধরে রেখে ৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বাংলাদেশ। মিতুর কর্নারে ঐশি খাতুনের হেড গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও
আধিপত্য ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৫৮তম মিনিটে ঐশির গোলমুখে বাড়ানো আড়াআড়ি পাসে
আলতো করে পা ছুঁয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান তৃষ্ণা রানী।
বোঝাপড়ার ভুলে ৬২তম
মিনিটে চতুর্থ গোলটি হজম করে ভুটান। গোলরক্ষক দুর্বল শটে বল বাড়িয়েছিলেন
তিসেরিং পেলজমের কাছে। ঐশি ছুটে আসায় দ্রুত ব্যাক পাস করতে যান তিসেরিং,
কিন্তু বল গোলরক্ষকের কাছে ফিরে যাওয়ার আগেই ছুটে গিয়ে ডান পায়ের শটে
স্কোরলাইন ৪-০ করেন ঐশি। তাতে ভুটানের টানা তৃতীয় হার হয়ে দাঁড়ায় স্রেফ
সময়ের ব্যাপার।
অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ ও ২০- এই তিন ফরম্যাটে বয়সভিত্তিক
প্রতিযোগিতাটি এর আগে মাঠে গড়িয়েছে সব মিলিয়ে মোট চারবার। তিন বার
চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
একবার শিরোপা জিতেছে ভারত; ২০২২ সালে
অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের প্রতিযোগিতায়। সেবার গ্রুপ পর্ব ও ফাইনাল-দুই
ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।