প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:২৮ পিএম আপডেট: ২৯.১১.২০২২ ১:১৮ পিএম |

২০০৯ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যৌতুকের লোভে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন। মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কোমার ডোগা গ্রামের আবদুল কাদের তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে যৌতুকের টাকার দাবীতে নির্যাতন করতো। বিয়ের সময় দাবী করা ৫০ হাজারের মধ্যে বাকি ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায়, তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৪ জুন ভোরে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ঝর্ণার বোন খালেদা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আবদুল কাদেরসহ আরো ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশের পর সিআইডির তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে তদন্ত কর্মকর্তা স্বামী আবদুল কাদের, মনোয়ারা বেগম, নাজমা আক্তার ও আবদুছ ছাত্তার নামে ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। সর্বমোট ১২ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন -১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন রায় প্রদাণ করেন। রায়ে আসামি ঝর্ণার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত।