সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪৬ রান তাড়ায় দীর্ঘক্ষণ লড়াই করলেন ম্যাথু ওয়েড-অ্যারন ফিঞ্চ। দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে অজি অধিনায়কও শেষ পর্যন্ত ফিরলেন ১৭.১ ওভারে। তখন দলটির ১৮ বলে প্রয়োজন ১৯ রান। অথচ এই অবস্থাতেও ম্যাচটা জমে উঠে শেষ ওভারে। বাকি ৬ বলে যখন ১১ রান দরকার, ঠিক এমন সময়ে ওয়েডের ক্যাচ ফেললেন রেইফার! শেলডন কট্রেলের বলে ক্যাচ ফেলে দিয়ে ১৯.৫ ওভারে ম্যাচটাও ৩ উইকেটে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ঘরের মাঠে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে আসায় ম্যাথু ওয়েড যেনো নিজেকে ছন্দে ফেরানোর মিশনে নেমেছেন। দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত থাকলো ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেও।
কারারা ওভালে শুরুতে টস হেরে ব্যাটিং করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে না ওঠায় ৯ উইকেটে ১৪৫ রানই জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৩৯ রান করেছেন কাইল মায়ার্স। দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য স্কোর করেন ওডিন স্মিথ-১৭ বলে ২৭। অবশ্য এই ম্যাচে ক্যাচ ছাড়ার মতো রিভিউ না নেওয়ার খেসারতও দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিপিএলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ব্র্যান্ডন কিং দুর্দান্ত এক ছক্কায় নিজের হাতও খুলেছিলেন। ৯ বলে ১২ রানে হ্যাজেলউডের বলে এলবিডাব্লিউ হলেও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। কিন্তু কিং সেই কাজটিই করেননি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৫ রানে তিনটি উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড। ২০ রানে দুটি নেন প্যাট কামিন্স। ৪০ রানে দুটি নেন মিচেল স্টার্ক। ১৬ রানে একটি নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না। ৮ ওভারের মাঝে পড়ে যায় ৫ উইকেট। ওয়ার্নার ১৪, মিচেল মার্শ ৩, ক্যামেরন গ্রিন ১৪ রান করে বিদায় নিয়েছেন। যারা প্রভাব রাখতে পারতেন সেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও টিম ডেভিড তো শূন্য রানে ফিরেছেন! তাতে ভীষণ চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এর পর স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে নিয়েছেন অধিনায়ক ফিঞ্চ ও উইকেটকিপার ব্যাটার ওয়েড। তাদের ৬৯ রানের জুটিই মূলত অজিদের উদ্ধার করেছে।
ফিঞ্চ জয়ের কাছে পৌঁছে ৫৩ বলে ৫৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ফিরেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার। ম্যাচসেরাও তিনি। আর ওয়েড ২৯ বলে ৫ চারে ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে অপরাজিত থেকেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৭ রানে দুটি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ, ৪৯ রানে দুটি নেন শেলডন কট্রেলও। একটি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার, ইয়ানিক কারিয়াহ ও ওডিন স্মিথ।