ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ফেসবুকে তর্কের জেরেই খুন ! আটক ৮
Published : Friday, 23 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 23.09.2022 1:40:39 AM
ফেসবুকে তর্কের জেরেই খুন ! আটক ৮নিজস্ব প্রতিবেদক: তুচ্ছ বিষয়ে বিরোধের জের ধরেই কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় কিশোর গ্যাং এর সংঘর্ষ এবং হামলার ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে খুনোখুনিও। কুমিল্লার তিতাসে কলেজ ছাত্র সিয়াম খুনের ঘটনার পেছনেও রয়েছে ‘ফেসবুকে তর্ক’। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্ত এবং গ্রেপ্তার ৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়। সামান্য বিষয়ে বিরোধ নিয়ে ঝরে গেছে কটি তাজা প্রাণ, অনিশ্চিত হয়ে গেছে আরো ৮ কিশোরের শিক্ষা জীবন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস উপজেলার চরমোহনপুর গ্রামের বাকের সরকারের ছেলে ও মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থী মোঃ সিয়ামের সাথে প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে ফেসবুকে তর্ক হয় দাখিল পরীক্ষার্থী মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নয়াগাও সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ছাত্র নাজমুলের। বৃহষ্পতিবার পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে এই বিষয়ে কথা বলার জন্যই উপস্থিত হয় নাজমুল ও সিয়াম। এসময় তাদের তর্কাতর্কি এবং ধস্তাধস্তির কথা শুনে এগিয়ে আসে নাজমুলের অন্য সঙ্গীরাও। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সিয়ামের মৃত্যু হয়।
সিয়ামের মা তাহমিনা সবুজ বলেন, প্রেমের সম্পর্ক বিষয়ে আমার ছেলের সাথে এক ছেলের ফেসবুকে তর্কাতর্কি হয় এবং আমার ছেলেকে হুমকি দেয়। পরে আমার ছেলে সিয়াম তার বাবার কাছে ঘটনাটি জানায়। সিয়ামের বাবা ওই ছেলেকে বুঝিয়েও ঝগড়ায় না জড়ানোর জন্য অনুরোধও করে।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে সিয়ামের সাথে নাজমুলের তর্কাতর্কি ও বিরোধ হয়। এই বিষয়ে কথা বলার জন্যই সিয়াম ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে যায়। কথা বলার এক পর্যায়ে সাকিব নামে ্একজন দৌঁড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে আসে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সিয়ামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সিয়ামের তলপেটে ছুরির দু’টি আঘাত আছে। ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পরীক্ষার কারণে নাজমুলসহ অন্যান্যরা গাজীপুর মাদাসার পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। নাজমুলের সাথে সিয়ামের তর্কের কথা শুনে অন্যরা ওই বাসা থেকে বের হয়ে আসে এবং সবাই মিলে হামলা করে। বৃহষ্পতিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয় নি। গ্রেপ্তারকৃতরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের উপর নির্ভর করে। যেহেতু তারা একটি গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত- এবিষয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।