ঢাকার কেরাণীগঞ্জে টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে দগ্ধ আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে দগ্ধ সাহাদত হোসেন (২০) এবং সন্ধ্যায় সাহাদতের নানি মোছাম্মৎ বেগম (৬০) ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
গত মঙ্গলবার ভোরে জিনজিরা মান্দাইল জেলেপাড়ার টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লাগলে দুই শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। ওইদিনই বেগমের আট বছর বয়সী নাতনি মরিয়ম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক আইউব হোসেন জানান, সাহাদতের শরীরের ৫২ শতাংশ আর বেগমের শরীরের ২৩ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহাদতের খালা সোনিয়া আক্তার (২৬), ভাই ইয়াছিন (১২) এবং বেগমের বোন পান্না বেগমের (৫০) অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান এ চিকিৎসক।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানিয়েছিলেন, মান্দাইল জেলেপাড়ার একটি টিনশেড ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তারাই দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাহাদতের বন্ধু ইমন জানান, সাহাদত ও ইয়াছিনের বাবা আব্দুর রশিদ দেশে থাকেন; মা ছালমা বেগম সৌদি প্রবাসী। দুই ভাই নানির বাসায় থাকতেন।
সাহাদত পুরান ঢাকার শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার মা সৌদি আরব থেকে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইমন।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশীদ বলেন, “এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু আত্মীয়স্বজন সবাই হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি।”