
চলতি মাসের ২৭
তারিখ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের আসর। আরো আগেই
সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেই দলে মাত্র দুজন
ওপেনার। সাকিব-মুশফিক-সাব্বিরদেরকেও ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে! এতে কি
বদলাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগারদের পারফরম্যান্সের চিত্র? বিসিবি
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য এতটা আশা করছেন না।
তবে তিনি দলের মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন আনার কথা বললেন।
ক্রিকেটের
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ খুবই দুর্বল। দলে নেই কোনো হার্ডহিটার। আজ
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় পাপন এসব স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘সামনে
এশিয়া কাপ। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো দল
না। কে প্রতিপক্ষ সেটা বড় কথা না; আমাদের দলটা আসলে অত শক্তিশালী না। এসব
বিষয়ে আলোচনা করেছি। একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা সব চিন্তাধারা
মাইন্ডসেট সব কিছু হঠাৎ করে বদলে দিতে চাচ্ছি এই এশিয়া কাপ থেকে। পরে আমরা
দেখতে চাচ্ছি নতুন করে ফ্রেশ স্টার্ট করা যায় কি না। ’
কয়েক মাস ধরেই
বাংলাদেশ দলে চলছে চোটের হানা। চোটের কারণে এই মুহূর্তে নেই লিটন কুমার দাস
এবং নুরুল হাসান সোহান। এটাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন পাপন, ‘আমাদের
জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, টি-টোয়েন্টিতে যার প্রথম পছন্দ হিসেবে দলে
থাকত; আপনাদের (সাংবাদিক) যদি দল বানাতে বলি আপনারাও লিটন দাস আর তামিমকে
রাখতেন ওপেনিংয়ে। এই দুজনই নাই। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার মিডল অর্ডারের শেষে
ফিনিশিংয়ের জন্য কাউকে পছন্দ করতে বললে চলে আসত সোহানের নাম। এই
ক্রিকেটাররাই এখন নাই। ’
ছয় দলের এশিয়া কাপ অবশ্যই বড় একটা প্রতিযোগিতা।
পাপনের মতে, বিশ্বকাপের পরই এশিয়া কাপের স্থান। এবার দলে পরিবর্তন আনলেও
নাটকীয় কোনো সাফল্যের আশা করছেন না পাপন, ‘এশিয়া কাপ কিন্তু হালকা কিছু নয়,
বিশ্বকাপের পরই এইটা। গত বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স তো খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ
করে এটা থেকে বের হতে পারব কিনা জানি না, তবে আমাদের মাথায় যদি
চিন্তাধারাটা যদি ও রকম থাকে―আমরা উন্নতি করতে চাই, তাহলে সম্ভব। যদি এশিয়া
কাপ থেকেই শুরু না করি, তাহলে বিশ্বকাপে গিয়ে অবস্থা আরো খারাপ হবে। তাই
আমরা একটা আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। ’
আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর
প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছে। এই চার বছরের চক্রে বাংলাদেশ খেলবে ২৭
সিরিজ। যেখানে আছে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি। নতুন এই এফটিপি
বাংলাদেশের বিরাট অর্জন হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে বোর্ড সভাপতি
বলেছেন, ‘এফটিপিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এখন আমাদের। এখনকার এফটিপি
অবিশ্বাস্য। আমরা সৌভাগ্যবান। ক্রিকেটার শুধু নয়, কোচিং স্টাফদের কথা
চিন্তা করুন, কেউ নিশ্বাস ফেলার সময় পাবে না। যে পরিমাণ খেলা পেলাম, এতে
অনেক ব্যাপার ফুটে ওঠে। আইসিসি বলেন বা অন্য দেশগুলো, তারা বাংলাদেশকে এখন
গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে খেলতে চাচ্ছে।’
দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টও খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। এফটিপির বাইরে এসব খেলায়
অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কঠিন।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন,
‘এফটিপির বাইরেও খেলা আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে আরও খেলার। আইসিসি, এসিসি
ইভেন্ট তো আছেই। অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এটি। আমাদের জন্য
গর্বের ব্যাপার যে এত খেলা পেয়েছি, কিন্তু এটাকে ম্যানেজ করা, সামলানো অনেক
বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ে বোর্ডের সবার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম।’